মাঝ রাস্তায় পোঁতা হল কচুগাছ। পিচের রাস্তার মাঝেই বোনা হল ধানের চারা। পাশাপাশি জ্বলল গাড়ির টায়ার। দেখে বলা যেতেই পারে যত কাণ্ড শিলিগুড়িতে।
সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা দেখলে মনে হবে মৃত্যুফাঁদ। জায়গায় জায়গায ছড়িয়ে রয়েছে বড় বড় গর্ত। যা এড়িয়ে যাতায়াত করা দায় হয়েছে শিলিগুলির ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। সমস্যার সমাধানে একাধিকবার বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। শেষে প্রশাসনের নজর কাড়তে অভিনব প্রতিবাদের পথে হাঁটলেন এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তা অবরোধ করে মাঝ রাস্তায় থাকা খানাখন্দে ধানের চারা লাগিয়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন স্থানীয়রা।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা বহুদিন ধরেই বেহাল হলেও প্রশাসন কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না। এমতবস্থায় একবার খানাখন্দ ভরাটের কাজ শুরু হলেও তা অজানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তারই প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন,রাস্তা মেরামত না হলে প্রয়োজনে অনশনেও সামিল হবেন তারা।
আজ চম্পাশরি মোড় সংলগ্ন শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয়রা। খানাখন্দে পূর্ণ রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি মাঝ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধে সামিল হন তাঁরা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পথ অবরোধ চলার জেরে চম্পাশরি মোড় থেকে মিলনমোড়ের যোগাযোগ একপ্রকার থমকে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ তুলে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা দিপক দ্বিবেদী বলেন, বাধ্য হয়েই রাস্তা অবরোধে বাধ্য হয়েছি আমরা। কেননা, রাস্তা বহুদিন ধরেই খারাপ। স্কুল ছাত্ররা পথ চলতে সমস্যায় পড়ছে। রোগী নিয়ে চলাচলে সমস্যার সম্মুখীন অ্যাম্বুলেন্সও। একাধিক সময় বিভিন্ন দপ্তরের দরবার করেছি,কিন্তু লাভ হয়নি। তবে মাঝে একবার রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। যদিও তা শুরুতেই থমকে যায়৷ তবে আমরা চাই সংস্কারের কাজ দ্রুত হোক। অন্যথায় পথ অবরোধের পর আগামীতে অনশনে সামিল হব আমরা।
এবিষয়ে পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (কনস্ট্রাকশন) চন্দন কুমার ঝা বলেন, সমস্ত বিষয় নজরে রয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন করে রাস্তা তৈরির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।