নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছিল গত কয়েক মাস ধরেই। অবশেষে মার্চেই উপত্যকায় ফের পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদীর কাশ্মীর সফর ঘিরে নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছিল গত কয়েক মাস ধরেই। অবশেষে মার্চেই উপত্যকায় ফের পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মার্চ মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু ও কাশ্মীরে একটি নতুন শিল্প নীতি এবং শিল্প প্যাকেজের মধ্য দিয়ে রাজ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ চালু করবেন বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রীকে বিনিয়োগের গ্রাউন্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিল। যার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করতে সম্মত হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। মঙ্গলবার জম্মুর বজলতায় ২০টি বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন তিনি জানান, কয়েকদিন আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগের গ্রাউন্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার অনুরোধ করেছিলেন। তাতেই রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে মোদীর উন্নয়ন তালিকায় থাকা বজলতা থেকে শুরু হওয়া ২০টি প্রকল্প জম্মু, উধমপুর, পুঞ্চ এবং রাজোরিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে বলে সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে।
প্রকল্প সম্পর্কে গভর্নর আরও বলেন, “আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য আনা প্রকল্প থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আশা করেছিলাম, তবে এই প্রকল্পের প্রতিক্রিয়া দেখে আশা করা হচ্ছে যে শীঘ্রই ৭০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। এর জন্য জম্মু ও কাশ্মীরে অতিরিক্ত জমি ও বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। আমরা এখন থেকে এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
আরও পড়ুন-পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে পড়ল জল, মমতার উত্তরকন্যার বৈঠকে বিজেপি সাংসদের উপস্থিতিতে শোরগোল
লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, “বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। মার্চে ২০০ মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। দেড় বছরে দুটি বড় প্রকল্পের কাজ শেষ হলে, জম্বু ও কাশ্মীর বিদ্যুৎ খাতে সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। ২০২৪ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ২৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা আগে কাজে লাগানো হয়নি। বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামোও খারাপ অবস্থায় ছিল। আমরা কেন্দ্রের সহায়তায় জম্মু ও কাশ্মীরের সম্পদ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আগামী সময়ে, জম্মু ও কাশ্মীর উভয় বিভাগেই বিদ্যুৎ সংকট সম্পূর্ণভাবে দূর হবে।” এই প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে আরও বলতে শোনা যায়, “বিনামূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ বিতরণে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনতে সরকার স্মার্ট মিটার স্থাপন করছে। প্রত্যেক নাগরিককে বিদ্যুৎ চার্জ দিতে হবে। ”
আরও পড়ুন-মোবাইলে ভ্যালেন্টাইন ডে-র আকর্ষণীয় অফারের লিঙ্ক, এক ক্লিকেই ঘনাতে পারে বড় বিপদ