ভারতকে ৮ বছর আগে পোলিও মুক্ত দেশ ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু। কিন্তু সম্প্রতি সেই ভয়াবহ জীবাণু মিলল এবার কলকাতায়। ওই ভয়াবহ রোগের জীবাণু মিলেছে শহরের নর্দমার জলে।
ভারতকে ৮ বছর আগে পোলিয়ো মুক্ত দেশ ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু। কিন্তু সম্প্রতি সেই ভয়াবহ জীবাণু মিলল এবার কলকাতায়। ওই ভয়াবহ রোগের জীবাণু মিলেছে শহরের নর্দমার জলে। শহর কলকাতার ১৫ নম্বর বরোয় মেটিয়াবুরুজ এলাকার নর্দামার জলের নমুনায় পোলিয়ো জীবাণু ভিডিপিভি টাইপ ওয়ান পাওয়া গিয়েছে।আর এরপরেই উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।
উল্লেখ্য, ভারতে শেষবার পোলিয়ো রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ২০১১ সালে। আক্রান্ত হয়েছিল হাওড়া জেলার বছর দুয়ের এক শিশু কন্যা। এরপরে আর কোনও পোলিও কেস পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ ভারতকে পোলিয়ো মুক্ত দেশ ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু। যদিও তারপরেও সাবধনতা শিথিল না করে পোলিয়োর উপর নজরদারি কর্মসূচি এবং পালস পোলিয়ো টিকাকরণের কর্মসূচি চলছে নিয়মিতভাবে। শিশুদের রুটিন টিকাকরণের মধ্যে গুরুত্ব সহ রয়েছে পালস পোলিয়ো টিকা। এনিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে অনেক প্রচার হয়েছে। বাড়ি গিয়ে টিকা নিতে আহ্বান জানানো থেকে শুরু করে প্রতি রবিবার টিকাকরণ কর্মসূচি হয়েছে।কিন্তু তারপরেই এবার পড়ল ছেদ। শহর কলকাতার ১৫ নম্বর বরোয় মেটিয়াবুরুজ এলাকার নর্দামার জলের নমুনায় পোলিও জীবাণু ভিডিপিভি টাইপ ওয়ান পাওয়া গিয়েছে।আর এরপরেই রীতিমত উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।
আরও পড়ুন, বর্ষা এল দক্ষিণবঙ্গে ? বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরল বাংলায়
স্বাস্থ্য দফতরের জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, নর্দমার পোলিয়োর জীবাণু পাওয়ার অর্থ, প্রথমত তা পোলিয়ো আক্রান্তর মল থেকে নিঃসৃত হয়ে থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, এমনও হতে পারে, লাইভ পোলিয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছে, এমন কোনও শিশুর মল থেকে সেই ভাইরাস বেরিয়েছে। সেই শিশু খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেছে বলে মিশে গিয়েছে নর্দমার জলে। যদি প্রথমটি হয়, ধরে নিতে হবে, ইতিমধ্য়েই কোনও শিশু পোলিয়োয় আক্রান্ত হয়েছে। আর দ্বিতীয়টি হলেও আশঙ্কা থাকছে যে, নল থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে অন্য শিশুর শরীরে রোগ বাসা বাধতে পারে। অনেক জায়গাতেই পয়ঃপ্রণালীর যা দশা, তাতে নর্দমার জলে পাইপে বহু জায়গায় চিড় থাকে। তা থেকে এই নোংরা জল কাছের খাবার বা স্নানের জলে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে তেমন হলে, জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা। সরাসরি ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে, একই নর্দমায় কম দূরত্বে , একাধিক জনের খোলা শৌচে। তাই এখন স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাদের লক্ষ্য কোনও শিসু পোলিয়ো আক্রান্ত হয়েছে কিনা, তা খুঁজে বার করা।যা খুব একটা সহজ কাজ নয় বলে মেনে নিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, নুপুর শর্মাকে তলব করল এবার কলকাতা পুলিশ, বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের