পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আমফান ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে শক্তি। বর্তমানে এই ঘুণীঝড়ের অবস্থান দীঘা থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দূরে ও পারাদ্বীপ থেকে ৮২০ কিলোমিটার দূরে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণীঝড়ের দিক সামান্য পরিবর্তন হলেও তা পশ্চিমবঙ্গ ও বংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলেই আছড়ে পড়তে চলেছে। ফণী ও বুলবুলের স্মৃতি উষ্কে ভয় তারিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলবর্তী মানুষদের। এমনই সময় উদ্বেগ না বাড়িয়ে মাথায় রাখা উচিৎ সতর্কবার্তা। ঘূণিঝড়ের আগে ও ঘূর্ণিঝড়ের আগে ঠিক কী কী করবেন, জেনে নিন-
আরও পড়ুনঃ ঠিক কতটা গতিবেগ নিয়ে আঁছড়ে পড়তে চলেছে আমফান, কতটা ভয়ঙ্কর এই সুপার সাইক্লোন
১. ঘূর্ণীঝড়ের আগে অবশ্যই ফোনে চার্চ দিয়ে রাখুন, পরবর্তীতে যোগাযোগ করতে সুবিধে হবে।
২. প্রয়োজনীয় কাজগ পত্র সব একটি প্ল্যাস্টিকে ভরে কাছে রাখুন। এতে জল থেকে তা রক্ষা করা সম্ভব হবে।
৩. কোনও ধারালো জিনিস দূরে সরিয়ে রাখুন। নয়তো পরবর্তীতে বিপদ হতে পারে।
৪. হাতের কাছে শুকনো খবার মজুত রাখুন। খাবার জন সংগ্রহে রাখুন।
৫. প্রয়োজনীয় ওযুধ সঙ্গে করে রেখেদিন। আগে থেকে তা কিনে সংগ্রহেও রাখতে পারেন।
৬. বাড়ির ওপর কোনও প্লাস্টিক বা আলগা ছাউনি থাকলে তা শক্ত করে বেঁধে নিন।
৭.বাড়িতে থাকা পশুদের ঝড়ের আগেই ছেড়ে দিন, পরবর্তীতে তাদের সমস্যা হতে পারে ও প্রাণের ঝুঁকি থাকতে পারে।
৮. সমুদ্রে মাঝিদের যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পারে নৌকা শক্ত করে বেঁধে রাখুন।
৯. খবরে চোখ রাখতে হবে, কোনও ভুঁয়ো তথ্যে কান নয়, তা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে আজ থেকেই কলকাতায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া, জারি হল হলুদ সতর্কতা
ঝরের আগের প্রস্তুতি নয়ে রাখার পাশাপাশি বেশকিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে ঝড়ের সময়ও। এতে বিপদের ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে।-
১. ভাঙা বাড়ির নিচে দাঁড়ানো বা থাকা উচিত হয়। পাকা বাড়ি বা নিজের বাড়িতে থাকাই শ্রেয়।
২. গাছের তলায় বা ঝড়ের সময় পথে ঘাটে বে়রিয়ে পড়লে বিপদ হতে পারে।
৩. হাতের কাছে রাখতে হবে চর্ট। বিদ্যুৎ সংযোগে ব্যহত হলে তা কাজে লাগবে।
৪. ঝড়ের সময় বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রাখতে হবে। এতে শর্টসার্কিটের সম্ভাবনা কমবে।