গত প্রায় একমাস ধরে ১৬ থেকে ১৭ টাকা কেজি প্রতি দর ছিল আলুর। ফলে কিছুটা কম দামেই এই সবজি কিনতে পারছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার শেষ হতে চলেছে সেই সুখের দিন।
করোনা মন্দার গ্রাস ধীরে ধীরে কাটলেও খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির(Inflation) জেরে গত কয়েক মাস ধরেই নাজেহাল আম-আদমি। সেই সঙ্গে পেট্রো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথেই গত কয়েক মাসে সমস্ত নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস এমনকী শাক-সব্জির দামও আকাশ ছোঁয়া। এদিকে রান্নার গ্যাস, পেঁয়াজের পর এবার বাংলার মানুষের প্রধান মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আলুর দাম। এদিকে শীত পড়তে না পড়তেই দফায় দফায় বৃষ্টি সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের(Cyclone Jawad) কারণে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে আলু চাষের(Potato Farming)। তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে চাষিদের(Farmers) মধ্যে। এদিকে গত প্রায় একমাস ধরে ১৬ থেকে ১৭ টাকা কেজি প্রতি দর ছিল আলুর। ফলে কিছুটা কম দামেই এই সবজি কিনতে পারছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার শেষ হতে চলেছে সেই সুখের দিন।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক প্রান্তে ২০ থেকে ২৫ টাকা কিলোদরে বিকোতে শুরু করেছে আলু। আর তাতেই চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে আলুর পাশাপাশি দাম বাড়তে শুরু করেছে অন্যান্য সব্জিরও। বর্তমানে টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে। পাশাপাশি ফুলকপি বিকোচ্ছে ৫ থেকে ১০টা প্রতি পিস। বেগুনের দাম রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কিলোর আশেপাশে। সেখানে পটল বিকোচ্ছে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। ফুলকপির দাম রয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজি। বাঁধাকপি বিকোচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি। এদিকে সোমবার ও মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জ্যোতি আলু ১৮-২০ টাকা প্রতি কিলো (পাইকারি বাজার দর প্রতি কিলো ১৩-১৬ টাকা), চন্দ্রমুখী আলু ২২-২৫ টাকা কিলোদরে (পাইকারি বাজার দর প্রতি কিলো ১৮-২০ টাকা) বিকোচ্ছিল। কিন্তু বুধবার সকাল হতেই তা আরও খানিকটা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন-শ্রীরামপুরে গঙ্গার ঘাটে দেখা মিলল আস্ত কুমিরের, ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়
অন্যদিকে বর্তমানে খুচরো বাজারে পেঁয়াজ প্রতি কিলো ৪০-৪৫ টাকা ও পাইকারি বাজার দর প্রতি কিলো ৩০-৩৫ টাকায় বিকোচ্ছে। সেখানে আদা প্রতি কিলো ১০০-১২০ টাকা, কাঁচালঙ্কা প্রতি কিলো ৮০-১০০ টাকায় বিকোচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে রাজ্যে যে সমস্ত জমিতে আলু লাগানো হয়েছিল সেই সব জমিও কাদা হয়ে গিয়েছে নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টির কারণে। তাই নতুন করে বীজ বপন করতে হচ্ছে। তাতে আলুর ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলন কম হলে চাহিদা অনুযায়ী জোগান মিলবে না বলেই আশঙ্কা চাষিদের।