এক দশক পর পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিবর্তন হল। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোকে জেলা সভাপতি পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিল তৃণমূল হাইকমান্ড। তাঁকে জেলা কমিটির চেয়ারম্যান করা হল। ২০১০ সালে জেলা সভাপতি কামাখ্যা প্রসাদ সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হন শান্তিরাম। তার পর থেকে ওই পদের জন্য দলীয় হাইকমান্ড চিন্তাভাবনা করেনি।
টানা ১০ বছর জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন শান্তিরাম। দল বিস্তার করার ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিতণ্ডা, দ্বন্দ্ব শান্তি বজায় রেখে সামলেছেন তিনি। তিনি সভাপতি থাকাকালীনই বলরামপুর থেকে টানা দুবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। রাজ্যে তৃণমূলের শাসন ক্ষমতায় দুটি মেয়াদে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর হয়েছেন এবং এখনও সামলাচ্ছেন। শান্তিরামবাবু বলেন, 'দল যা দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব। এখন আরও বেশি দফতরের কাজ করতে পারব।'
জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর স্থানে আদিবাসী নেতা তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডুকে জেলা সভাপতি করল তৃণমূল কংগ্রেস। গুরুপদ বাবু জেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সন্ধ্যা রানি টুডু স্বামী গুরুপদ টুডু। মানবাজারের কাদলাগোড়া গামে তাঁর বাড়ি। পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষক তিনি। এদিন তাকে স্বাগত জানান দলীয় নেতাকর্মীরা। দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে খবর পেয়ে গুরুপদ বলেন, 'দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিজেকে উজার করে দেব। আমাদের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার উপর ভরসা রেখেছেন, মর্যাদার সঙ্গে পালন তা করব।'
জেলা কমিটিতে চেয়ারম্যান সভাপতি ছাড়াও তিনজন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে রাখা হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সুষেন মাঝি ও মিনু বাউরি রয়েছেন। অন্যদিকে, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সুশান্ত মাহাতোকেই রাখা হয়েছে জেলা সভাপতির দায়িত্বে।