Jute Mill closed: শ্রমিক আন্দোলনের মাঝেই তালা ঝুলল শ্যামনগর জুটমিলে, পথে বসলেন সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিক

Published : Dec 05, 2021, 07:50 PM ISTUpdated : Jan 12, 2022, 05:21 AM IST
Jute Mill closed: শ্রমিক আন্দোলনের মাঝেই তালা ঝুলল শ্যামনগর জুটমিলে, পথে বসলেন সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিক

সংক্ষিপ্ত

নানা কারণে গত কয়েকদিন ধরেই উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। শনিবার ওই কারখানার ড্রয়িং বিভাগের শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে দেন। এদিকে এই বিভাগে প্রায় ৬০ জন শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিকদের দাবি প্রতিদিন সকলকে কাজ দেওয়া হত না।

করোনাকালীন(Coronavirus) মন্দা কাটিয়ে ফের ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। কিন্তু তারপরেও পরেও ফিরছে না নিম্নবিত্তের জীবনমান। এমতাবস্থায় এবার ফের বন্ধ হয়ে গেল আরও এক জুটমিল। ভদ্রেশ্বর শ্যামনগর নর্থ জুটমিলে(Shyamnagar Jute Mill) এদিন ঝুলে গেল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের(Suspension of Work) নোটিশ। যার জেরে কাজ হারালেন প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানা কারণে গত কয়েকদিন ধরেই উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। শনিবার ওই কারখানার ড্রয়িং বিভাগের শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে দেন। এদিকে এই বিভাগে প্রায় ৬০ জন শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিকদের দাবি প্রতিদিন সকলকে কাজ দেওয়া হত না।

সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই কাজের দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন জুট মিলের(Jute Mill) ড্রইং বিভাগের আটজন অস্থায়ী শ্রমিককে মিল কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করে। বাকি শ্রমিকরা এই ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ করেন। এই অস্থায়ী শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর দাবিতে একজোট হন সব বিভাগের শ্রমিকরা। আর সেই কারণেই চলছিল আন্দোলন। এরপর থেকে প্রতিদিন ছয় সাত জন শ্রমিক কাজ পাচ্ছিল না। শ্রমিকদের দাবি প্রতিদিন কাজে এলেও কাজ না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হত। এর ফলেই শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয়। গতকাল ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের জন্য ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে স্পিনিং বিভাগের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে পারেনি। বিকাল থেকে ড্রয়িং বিভাগের শ্রমিকরাও কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপরেই মিল কর্তৃপক্ষ রবিবার সকালে সাসপেনশন অফ ওয়ার্সের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল গেটে।

আরও পড়ুন-বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বন্ধুকে খুন, চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরে

এদিকে জাওয়াদের জন্য হুগলির ফেরিঘাট গুলো দুদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। আর সেটাই মিল বন্ধের পিছনে অন্যতম কারণে বলে ঢাল করছে মালিক কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বহু শ্রমিক গঙ্গা পার করে কাজে আসতে পারেনি। তাই উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় মিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে মিল বন্ধ প্রসঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়ন আইএনটিটিইউসি-র সম্পাদক লালবাবু সিং জানান, তাঁদের না জানিয়েই মিল বন্ধ করেছে মালিক পক্ষ। এই বিষয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটা অন্যায়। আমরা প্রশাসনের কাছে যাব।” এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার শ্রম দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক ও শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে মিল খোলার বিষয়ে ও শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে আলোচনা হতে পারে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের।

PREV
click me!

Recommended Stories

রেকর্ডস্তরে পৌঁছে গেল বন্দরের নাব্যতা, বাড়বে রাজস্ব, খুশি পাইলট গিল্ড অ্যাসোসিয়েশন
উত্তুরে হাওয়ায় জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে, সকালে কুয়াশার সতর্কতা, কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া