সেক্টর মোবাইল থেকে, কুইক রেসপন্স টিম, আর টি মোবাইল সহ শহর ও পার্শ্ববর্তী জেলা সংলগ্ন সীমান্ত এলাকাগুলোতেও চলবে নাকা তল্লাশি। কাজে লাগানো হচ্ছে কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপকেও।
১২ই ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি পুরনিগমের (Siliguri Municipal Corporation) নির্বাচন। ৪ লক্ষ ২ হাজার ৮৯৫ জন ভোটারের (Voter) জন্য মোতায়েন ২২৭২ জন পুলিশ (Police)। ৪৭টি ওয়ার্ডে (47 Wards) মোট ৫০২টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৮১। অতিরিক্ত ৮২টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। স্পর্শকাতর বুথে সিসিটিভি সহ ভিডিওগ্রাফির বন্দোবস্ত থাকছে।
মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক তথা শিলিগুড়ি মহকুমা শাসক শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাও পাতিল জানান, "১৭ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর রয়েছে, সেই সব বুথগুলোতে সিসিটিভির কড়া নজরদারি থাকবে।" বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির তথ্যকেন্দ্রে নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা, ডিসিপি জয় টুডু, ইস্ট ও ওয়েস্ট ডিডি, এসিপি, থানা ও ট্রাফিকের অফিসার ও কর্মীরা।
ক্লোজ ডোর বৈঠক শেষে কমিশনার গৌরব শর্মা জানান, নিরাপত্তা নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেক্টর মোবাইল থেকে, কুইক রেসপন্স টিম, আর টি মোবাইল সহ শহর ও পার্শ্ববর্তী জেলা সংলগ্ন সীমান্ত এলাকাগুলোতেও চলবে নাকা তল্লাশি। কাজে লাগানো হচ্ছে কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপকেও। তৈরি করা হয়েছে স্পেশাল চেকিং টিম। অন্যদিকে পুলিশ সুত্রে খবর, মোট ২২৭২ জন পুলিশ কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে বাইরের জেলা থেকে ১৫০০ জন পুলিশ নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি শহরের ৭৭২ জন পুলিশ কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে,১২ জন ইন্সপেক্টর,২০০ জন এ এস আই ও এস আই, ৬০ জন মহিলা কনস্টেবল, ৫০০ জন পুরুষ কনস্টেবল।
শিলিগুড়ি থানা এলাকায় ৮০০, এনজেপি থানা এলাকায় ২০০, ভক্তিনগর থানা এলাকায় ৩০০ এবং মাটিগাড়া ও প্রধাননগর থানা এলাকায় ২০০ জন করে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে যে কেন্দ্রগুলোতে ৩টে বুথ রয়েছে সেই সব কেন্দ্রের ক্ষেত্রে ২জন সশস্ত্রবাহিনী ও একজন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে, যেসব কেন্দ্রে তিনের অধিক বুথ থাকবে সেই ক্ষেত্রে ৪জন সশস্ত্রবাহিনী ও একজন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে।
৩৩ ওয়ার্ডের চন্দননগর পুরসভায় অ্যাসিড টেস্ট, কোন ফুলে জোর বেশি-জানাবে ভোটবাক্স
শহরে ১৭ শতাংশ স্পর্শকাতর বুথের মধ্যে রয়েছে ১,২, ১৭,২২, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি, ৪,৫ নম্বর ওয়ার্ডে আটটি, ৯ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়টি, ৬, ১০, ১৩, ১৯, ২০, ২১,৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি করে, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচটি করে, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪টি ও ৪০ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে চারটি করে বুথ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের সুরক্ষা ব্যবস্থায় নিয়োগ করা হয়েছে ২২৭২ জন পুলিশ, যাদের অধিকাংশই লাঠিধারী।
তৃণমূলের রাশ থাকবে কার হাতে, ঠিক হবে শনিবার - সবাইকে কালীঘাটে ডাকলেন মমতা
প্রশাসন শান্তিপূর্ণ ভোটের কথাই বলছে। তবে বাম বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল পথে থাকার নির্দেশ দিয়েছে দলীয় কর্মীদের। শিলিগুড়ি প্রাক্তম বাম মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, অবাধ শান্তিপূর্ন ভোট চাই আমরা। তারজন্য কমিশনকে ব্যবস্থা করতে। তবে অশান্তি হলে চুপ করে বসে থাকবো না।
শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন শাসক দল কোন অশান্তি করার চেষ্টা করলে আমাদের কর্মীরা রাস্তায় নামবেন। প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, বাম ও বিজেপি গতে ধরা কথা বলতে থাকে তবে শিলিগুড়িতে শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন হয়ে এসেছে এবারও হবে। ওসব বলে কোন লাভ হবে না।