সকালের জলখাবারে চপ মুড়ি না হলে ঠিক যেন জমে না। ঘুরতে দারুণ ভালবাসেন। অবসর সময়ে সঙ্গী রবীন্দ্র সংগীত। চিকিৎসক সুভাষ সরকার ঠিক এতটাই মাটির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন। অবশ্য চিকিৎসকের পাশাপাশি, আরও একটি বিশাল বড় দায়িত্ব তাঁর নামের পাশে বসিয়ে দেওয়া যায় এখন থেকে অনায়াসেই। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বছর সাতষট্টির সুভাষ সরকারের ভাবমূর্তি এলাকায় এতটাই স্বচ্ছ।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুভাষ সরকার চিকিৎসক হিসেবে শুধু বাঁকুড়া নয়, আশপাশের এলাকাতেও রীতিমত জনপ্রিয়। অবশ্য তাঁর জনপ্রিয়তার মূলে রয়েছে একটা বিশেষ কারণ। মাত্র দুটাকায় রোগী দেখতেন তিনি একটা সময়ে। এই পরিমাণ ফিজ নেওয়া, কোনও পারিশ্রমিক না নেওয়ারই সমতুল। গরীব মানুষদের কথা ভেবে এত কম ফিজ নিয়ে দিনের পর দিন চিকিৎসার পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন তিনি হাসিমুখে।
চিকিৎসক সরকার বাঁকুড়া জেলা স্কুল থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। বাঁকুড়া খ্রিষ্টান কলেজ থেকে ফিজিক্স অনার্স এবং স্পেশ্যাল বায়োলজি। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন। পরে ধীরে ধীরে বাঁকুড়া শহরের বুকে নিজস্ব নার্সিং হোম চালু করেন তিনি। সুনামের সাথে চিকিতসা পরিষেবা দিয়ে চলেছে সেই নার্সিং হোম।
তবে রাজনীতিতে তিনি এসেছিলেন আরএসএসের হাত ধরে। সপ্তম শ্রেনী থেকেই আরএসএস সংগঠনে যোগ দেন তিনি। কলেজ জীবনে এবিভিপি রাজনীতি করেছেন। ছিলেন রাজ্যের এবিভিপি ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ। রাজ্যের বিজেপি সাধারন সম্পাদক দায়িত্ব সালেছেন তিনি বহু বছর। পরে সামলেছেন রাজ্যের সহ সভাপতির দায়িত্ব। ২০১৪ সালে বাঁকুড়া লোকসভার প্রার্থী হয়ে লড়াই করলেও, জিততে পারেননি। ফের ২০১৬ সালে বাঁকুড়া বিধানসভার প্রার্থী হয়ে লড়াই করার সুযোগ দেয় দল, কিন্তু তখনও তিনি জিততে পারেননি।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে লড়াই করে জয়ের হাসি হাসেন তিনি। বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে বিজেপি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন।