অমিত শাহের রোড শো-র আগেই উত্তেজনা ছড়াল কলকাতায়। প্রথমে মিছিলের রুট এবং তার পরে, রাস্তার ধার থেকে বিজেপি-র ফ্লেক্স এবং ব্যানার খোলাকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি নেতা কর্মীরা। মিছিলের জন্য ধর্মতলা, লেনিন সরণীর মতো রাস্তা পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ওয়েলিংটন, কলেজ স্ট্রিট, বিধান সরণী হয়ে মিছিল যাওয়ার কথা বিবেকানন্দ রোডে। এই সমস্ত রাস্তাতেই যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ফলে ব্যস্ত সময়ে গোটা মধ্য এবং উত্তর কলকাতায় তুমুল যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ধর্মতলা চত্বরও।
এ দিন ধর্মতলা মোড় থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় শহিদ মিনারের সামনে থেকে। এর পরে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে সভামঞ্চ তৈরি করছিল বিজেপি। পুলিশ গিয়ে সেই মঞ্চ তৈরিতে বাধা দেয়। অভিযোগ, পুলিশের অনুমতি না নিয়েই ওই মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছিল। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এর পরেই লেনিন সরণীতে পুলিশ বিজেপি-র লাগানো ফ্লেক্স এবং ব্যানার খুলে দিতে শুরু করে। পুলিশের দাবি, কমিশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতেই সেগুলি খোলা হচ্ছিল। ফ্লেক্স খোলা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ফ্লেক্স, ব্যানার খোলার প্রতিবাদ করেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। পুলিশের নিয়ে আসা গাড়ি ভাঙতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ অভিযোগ করেন, তৃণমূলের গুন্ডাদের নিয়ে এই কাজ করেছে পুলিশ। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাহুল সিংহ। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেন, মমতার পুলিশ গুন্ডাগিরি করছে। শেষ পুলিশের খুলে দেওয়া ফ্লেক্স, ব্যানার ফের লাগিয়ে দেন বিজেপি সমর্থকরা। এর পরে অবশ্য বেলা তিনটে নাগাদ ধীরে ধীরে শুরু হয়ে যায় মিছিল।
সোমবারই বারুইপুরে জমির মালিকের অনুমতি সংক্রান্ত জটিলতায় শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গিয়েছিল অমিত শাহের জনসভা। ক্যানিং থেকে চ্যালেঞ্জ ছু়ড়ে বিজেপি সভাপতি বলেছিলেন, ক্ষমতা থাকলে কলকাতায় এলে তাঁকে গ্রেফতার করুক মমতার পুলিশ। এই উত্তেজনার আবহেই এ দিন কলকাতায় মিছিল করবেন বিজেপি সভাপতি।
অমিত শাহের পাশাপাশি এ দিন কলকাতায় তিনটি সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যাদবপুর, টালিগঞ্জ এবং বেহালায় সভা করবেন তিনি। শেষ দফার ভোটের আগে কলকাতায় রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ চড়ছে।