ভাগ্য কেড়েছে বাবা-মাকে, দুবেলা খাবারের জন্য প্রতিবেশীদের দরজায় তিন অনাথ শিশু

Published : Jun 14, 2021, 09:05 PM IST
ভাগ্য কেড়েছে বাবা-মাকে, দুবেলা খাবারের জন্য প্রতিবেশীদের দরজায় তিন অনাথ শিশু

সংক্ষিপ্ত

মারা গিয়েছেন বাবা মা খাবার জুটছে না তিন অনাথ শিশুর প্রতিবেশীদের সাহায্যে কোনও রকমে বেঁচে তিন খুদে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে না প্রশাসন

একেই বলে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! দুবছরের মধ্যে বাবা-মাকে হারিয়ে অনাথ তিন শিশু। প্রতিবেশীদের হাতে আপাতত তাদের দেখভাল ভরণপোষণ চললেও কদিনই বা প্রতিবেশীরা তাদের লালনপালন করতে পারবেন সেই আশঙ্কাতেই দিন কাটছে তিন খুদের। ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা গ্রামপঞ্চায়েতের পোখরপাড়া গ্রামের তিন শিশু কুদ্দুস, কাশ্মীরা ও রৌনক বাবা মাকে হারিয়ে অথৈ জলে। 

স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য থেকে পঞ্চায়েত প্রধান সকলের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন প্রতিবেশীরাও। কীভাবে চলবে তাদের ভরণপোষণ ও লালনপালন!  বাবা মারা গিয়েছে বছর দুয়েক আগেই। স্বামীহারা মা জেহেরুন বিবি কোনওমতে তিন শিশু নিয়ে দিনমজুরি করে দিনাতিপাত করছিলেন।

দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর থেকে তৃণমূলের হিংসা, রাজ্যপালকে বৈঠকে আর কী বললেন শুভেন্দু

আচমকাই মাস দেড়েক হল মা জেহেরুন বিবিও মারা গিয়েছেন। তারপর থেকেই ছোট্ট তিন অনাথ শিশুকে দেখভাল ও ভরণপোষণের দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা গ্রামপঞ্চায়েতের পোখরপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। 

কিন্তু প্রতিবেশীদের পক্ষেও আর সেই তিন অনাথ শিশু কুদ্দুস, কাশ্মীরা ও রৌনকের দায়ভার নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছেনা। কি করবেন তারা এই বাচ্চা গুলোকে নিয়ে? কোথায় যাবেন? কি খাবে ওরা? এই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন  গ্রামবাসীরা। সাদ্দাম হোসেন নামে এক গ্রামবাসী জানান, ৬ বছর বয়সী বড় ছেলে কুদ্দুস আলম একটি মাদ্রাসাতে পড়াশুনা করে, কিন্তু ওই শিশু শারীরিকভাবে সক্ষম নয়। তারপরে রয়েছে দুটি কন্যাসন্তান। 

সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে সিঙ্গুর বিল-কঠিন লড়াইয়ের ১০ বছরের স্মৃতিচারণা, কী বললেন মমতা

একটি কন্যা সন্তানের বয়স চার থেকে পাঁচ বছর হবে আর একটি কন্যা সন্তানের বয়স দুই থেকে তিন বছর। তবে সবচেয়ে ছোট কন্যা সন্তানটিকে তার মামার বাড়িতে রাখা হয়েছে।  কিন্তু সেই মামারও আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এমতাবস্থায় প্রতিবেশীদের দাবি কোথাও যাতে এই তিন অনাথ শিশুকে ভরণপোষণ ও লালনপালন করার ব্যবস্থা করা যায়, যাতে এই শিশুগুলো মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠতে পারে। ওরাও যেন বাঁচতে পারে এই পৃথিবীর বুকে। প্রতিবেশী থেকে গ্রামের বাসিন্দারা এখন এটাই চাইছেন। 

ওই শিশুদের মামা স্থানীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাতে কোনো অনাথ আশ্রমে ওদের দিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে কিন্তু সেই বিষয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলে তার দাবি। গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন সহ একাধিক আমলারা ওই অনাথ শিশুদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তবে তাঁরা নিশ্চিন্ত হবেন। 

আগে করোনা আক্রান্ত হলে ভ্যাকসিনের একটা ডোজেই কাজ হবে : সমীক্ষা

যদিও মাটিকুন্ডা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মেহেবুব আলম জানান, ঈদের তিন চারদিন আগে তিনি ওই শিশুদের মামার মাধ্যমে খবর পেয়েছিলেন এবং তারপর থেকেই তিনি শিশুদের মামাকে দেখভালের কথা বলেছেন এবং পঞ্চায়েত থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। পাশাপাশি এলাকার সমাজসেবীদের কাছেও তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে সবাই ওই তিন অনাথ শিশুর পাশে এসে দাঁড়ান।

PREV
click me!

Recommended Stories

Mamata Banerjee: ‘তৃণমূল বিজেপির কাছে মাথা নত করে না!’ কোচবিহারে রণহুংকার মমতার
BJP News: নিউটাউনে তৃণমূলের বাড়ল অস্বস্তি! গেরুয়া শিবিরে দুই নেতা-কর্মীর যোগদান