হালিশহরের পরে এবার কাঁচরাপাড়া। বিজেপি-তে গিয়েও তৃণমূলে ফিরে এলেন চেয়ারম্যান-সহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। ফলে মুকুল রায়ের খাসতালুকেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে দু'টি পুরসভা পুনর্দখলের পথে তৃণমূল কংগ্রেস।
কাঁচরাপাড়া পুরসভায় মোট চব্বিশটি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের পরে তিন জন বাদে বাকি সব কাউন্সিলরই বিজেপি-তে যোগ দেন। ফলে ওই পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যে আঠারোজন কাউন্সিলর বিজেপি-তে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৬ জনই ফের তৃণমূলেই ফিরে এসেছেন। দলে ফিরেছেন পুরপ্রধান সুদামা রায়ও। যদিও সুদামা রায়ের ফোন বন্ধ থাকায় এ দিন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তৃণমূল নেতাদের দাবি, আরও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরছেন। যদিও বিজেপি শিবিরের দাবি, পুরসভা তাদের দখলেই থাকছে। প্রসঙ্গত কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন মুকুল রায় পুত্র শুভ্রাংশু রায়।
আরও পড়ুন- ঘরে ফিরলেন ৮ কাউন্সিলার, বাঘের মন জঙ্গলেই থাকে, বলছেন ফিরহাদ হাকিম
মঙ্গলবারই হালিশহর কাঁচরাপাড়াও পুনর্দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানকার বারোজন তৃণমূল কাউভন্সিলরই বিজেপি ছেড়ে পুরনো দলে ফিরে এসেছেন। এর ফলে এই পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসার সম্ভাবনা। এ দিনই পুরসভায় গিয়ে চেয়ারম্যান অংশুমান রায় এবং তৃণমূল কাউন্সিলররা ফের বোর্ড গঠনের দাবি পেশ করেছেন।
লোকসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূলকে জোরালো ধাক্কা দিয়ে হালিশহর, কাঁচরাপাড়া এবং নৈহাটি পুরসভা দখল করেছিল বিজেপি। মুকুল রায়ের নেতৃত্বে দিল্লি গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। এর পরে বনগাঁ, গাড়ুলিয়া, দার্জিলিংয়ের মতো আরও বেশি কয়েকটি পুরসভা দখল করেছিল বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে ওই কাউন্সিলরদের বিজেপি-তে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়।