মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ থেকে নসিপুর পর্যন্ত রেল সেতুর চালুর দাবিতে ফের আন্দোলনে নামলেন নিত্যযাত্রীরা। সোমবার সকাল শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার মুর্শিদাবাদে স্টেশনে দফায় দফায় চলল অবরোধ। অবরোধের কারণে ভাগীরথী এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন। বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।
মুর্শিদাবাদ জেলায় ভাগীরথী নদীর পূর্ব পাড় দিয়ে চলে গিয়েছে শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার রেলপথ। আর পশ্চিমপাড়ে হাওড়া-আজিমঞ্জ রেলপথ। ফলে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হলে শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে ট্রেন ধরতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু মুর্শিদাবাদ স্টেশন থেকে নসিপুর হয়ে যদি আজিমগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে যাত্রীদের আর উত্তর বা উত্তর-পূর্ব ভারতগামী ট্রেন ধরার জন্য শিয়ালদহ বা হাওড়ার যেতে হবে না। বহু আন্দোলন ও বিক্ষোভের পর ২০০১ সালে আজিমগঞ্জ থেকে নসিপুর পর্যন্ত সেতু নির্মাণের প্রকল্পের অনুমোদন দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, ২০০৬ সালে রেলব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। কিন্তু জমি জটের কারণে এখনও রেলব্রিজটি তৈরি করা যায়নি। জমির সঠিক দাম ও চাকরি দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জমিদাতারা।
এদিকে আজিমগঞ্জ-নসিপুর রেলব্রিজ চালু না হওয়া ক্ষোভ বাড়ছে নিত্যযাত্রীদের। সোমবার সকাল থেকেই শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার মুর্শিদাবাদ স্টেশনে অবরোধ শুরু করে দেন মুর্শিদাবাদ জেলা রেলওয়ে প্যাসেজারস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। বিভিন্ন আটকে পড়ে ভাগীরথী এক্সপ্রেস-সহ বিভিন্ন ট্রেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, অবরোধকারীদে সঙ্গে ফোনে কথা বলেন খোদ শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম। তাঁর কাছ থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন যাত্রীরা। তবে ডিআরএম যদি তাঁদের আলোচনায় না ডাকেন বা রেলব্রিজ তৈরি না হয়, সেক্ষেত্রে ফের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সোমবার সকালে শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর শাখার গোবিন্দপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।