মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের খাস জমি উদ্ধার করতে তীর-ধনুক হাতে সশস্ত্র বিক্ষোভ আদিবাসীদের। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়গড়ি মাঠ দীর্ঘদিন ধরে বেদখল হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি খতিয়ান অনুযায়ী জমিটি বর্তমানে খাস জমি। তবে এলাকার কিছু সমাজ বিরোধী ও জমি মাফিয়াদের কবলে পড়ে এই খাস জমি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যারা কিনছেন তারা হয় জমির কিছু অংশ ঘিরে দিচ্ছেন অথবা গাছ লাগিয়ে দিচ্ছেন।
ওই মাঠের আশে-পাশে সমস্ত এলাকাটাই আদিবাসী সম্প্রদায়ের গ্রাম। এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের দাবি ওই খাস জমির সরকারি কাজে ব্যবহার করা হোক এবং এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জমি হাঙরদের কবলে পড়ে খাস জমি দখল হয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে। ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক মহরে অভিযোগ জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে এলাকার আদিবাসী বাসিন্দাদের অভিযোগ।
তাই বৃহস্পতিবার বাধ্য হয়ে খাস জমিতে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে তীর ধনুক হাতেই কয়েকশো আদিবাসী ওই মাঠে নেমে পড়ে। ভেঙে দেওয়া হয় সমস্ত অবৈধ নির্মাণ। কেটে ফেলা হয় অবৈধ ভাবে লাগানো গাছ। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ওই এলাকায় ছুটে যায়। সশস্ত্র আদিবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। তিন ঘন্টা ধরে মাঠ এর মধ্যেই চলে আলোচনা।
কিন্তু আদিবাসীরা কোন কথা শুনতে নারাজ প্রশাসনের। তাদের দাবি না মেটা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে দেন পুলিশ আধিকারিকদের। এদিকে আদিবাসী বিক্ষোভের জেরে হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন গ্রামের রাস্তার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় কয়েক ঘণ্টার জন্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরো পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়। এখনো অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকার আদিবাসীরা। আদিবাসী বিক্ষোভের জেরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।