দেউচা-পাচামিতে জমি দিলেই চাকরি, ৫ হাজারেরও বেশি পদ তৈরি রয়েছে। নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
দেউচা-পাচামিতে ( Deucha Pachami ) জমি দিলেই চাকরি (WB Government Job)। ৫ হাজারেরও বেশি পদ তৈরি রয়েছে। উল্লেখ্য, দেউচা-পাচামির কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। আপাতত সরকারি জমিতেই কাজ শুরু হবে। তবে সরকারি জমির পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও জমি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যারা জমি দেবেন, তাঁঁদের জন্য সরকারি চাকরি , অন্যত্র জমি এবং ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, দেউচা-পাচামিতে জমি দিলে,জমিদাতাদের পরিবারের একেক জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। তার জন্য ৫১০০ পদ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমে মহম্মদ থানার অধীনে দেওয়ানগঞ্জ, হারিনগঞ্জের কোল ব্লক রয়েছে। সেখানে যারা কয়লা উত্তোলনের জন্য জমি দেবেন, তাদের জন্য চাকরি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, যারা জমি দেবেন তাদের পরিবারের একজনকে সিনিয়র বা জুনিয়ার কনস্টেবল পদে নিয়োগ করবে সরকার। জানা গিয়েছে, ১৩৯ জন জমি দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, প্রথম কাজটা যদিও সরকারি জমিতেই হবে। যারা রাজি হবেন তাঁদেরই জমি নেওয়া হবে। আমাদের হাতে জমি রয়েছে একহাজার একরের মতো। সুতরাং আমাদের জমিতেই কাজটা শুরু করব। যেহেতু লোকাল ছেলেমেয়েদের সাপোর্ট আমাদের দরকার, তাই আমরা, যারা জমি দিতে চান, তাঁদের পরিবার থেকে ৫১০০ সিনিয়র বা জুনিয়র কনস্টেবল নেব। তবে জমির বদলে জমিও যেমন মিলবে, তেমনিই পাট্টা এবং ক্ষতিপূরণ। স্বাভাবিকভাবেই ভবিষ্যতের কয়লাখনির এলাকা ছেড়ে নতুন জায়গায় জমি পাওয়া এটা সৌভাগ্যের ব্যাপার বলেই বহিঃপ্রকাশ স্থানীয়দের। বিশেষকরে জমি-বাড়ি থাকলেও কোভিডে এবং নানা বিধ কারণে যাদের কষ্ট করে দিন গুজরান হয়, তাঁদের জন্য এই কয়লা খনি সোনার ভাগ্য নিয়ে আসতে চলেছে। কারণ সরকারি চাকরি তাঁদের দুঃখ, দুর্দশা মেটাবে। প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আশঙ্কার দিন ঘুচবে। তাই এই মুহূর্তে আরও অনেকেই মুখিয়ে আছেন, শুধুই সিলমোহর পড়ার অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন, 'আপনার জন্য আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা রয়েছে', মমতার ব্লক বিতর্কের পর কি পিছু হঠলেন রাজ্যপাল
মহম্মদবাজারে কয়লাখনির জন্য জমি দিলে কোনও আদিবাসী বাদ যাবে না। সব আদিবাসীদের জন্য আলাদা আলাদা করে ঘর দেবে রাজ্য সরকার। দেউচা-পাচামিতে কয়লাখনি নিয়ে ঘোষণা করা প্যাকেজের কথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে মহম্মদবাজারকে সোনার মহম্মদবাজার গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।