আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবারই ছিল বিধিনিষেধের শেষ দিন। কিন্তু, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে বলে বুধবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এবারও মিলল না লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি। এর ফলে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধই থাকছে লোকাল ট্রেন।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবারই ছিল বিধিনিষেধের শেষ দিন। কিন্তু, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
রাজ্যে করোনার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৮০০-র মধ্যেই রয়েছে। এদিকে কয়েকটি জেলায় বেড়েছে সংক্রমণ। বেশ কিছু জায়গাকে কমনটেনমেন্ট জোন করে দেওয়া হয়েছে। যা পুজোর আগে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। আর সেই কারণেই দুর্গা পুজোর আগে বিধিনিষেধ পুরোপুরি শিথিল করা হয়নি রাজ্যের তরফে।
আরও পড়ুন- ' আমি যদি বাচ্চা মেয়ে হয়ে থাকি, তাহলে এত ভয় কেন', প্রিয়াঙ্কার যুক্তির ফাঁদে ফিরহাদ
বিজ্ঞপ্তিতে নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যা যা বিধিনিষেধ আছে, তা আরও ১৫ দিন কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ আমজনতার জন্য লোকাল ট্রেনের চাকা গড়াবে না। রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত গতিবিধিতে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা, আইন-শৃঙ্খলা এবং কৃষিকাজের সামগ্রী-সহ অন্য জরুরি সামগ্রীর ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে।
আরও পড়ুন- 'খেলা হবে', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থিমেই জমজমাট এবারের দুর্গাপুজো
এদিকে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাঁদের অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে। তাই রাজ্যে করোনার পরিস্থিতি এখন নিম্নমুখী হওয়ার ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন যে এবার হয়তো লোকাল ট্রেন চালুর ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- জলপাইগুড়িতে অজানা জ্বরে মৃত্যু ৪ শিশুর, ৫০০-র বেশি আক্রান্ত, আজই বৈঠক স্বাস্থ্য দফতরে
এছাড়া স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি ঠিক হলে ভাইফোঁটার পর স্কুল খুলতে পারে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আগে সব দোকান এবং বাজার যে নিয়ম মেনে খোলা হত, তেমনভাবেই খোলা যাবে। অর্থাৎ সাধারণ সময়েই দোকান খোলা রাখা যাবে। ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। এমনকী, ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ স্মৃতিস্তম্ভ এবং বিনোদনমূলক পার্ক খোলা রাখা যাবে। এগুলির ছাড়াও যে সব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল সেগুলি আগের নিয়মেই খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।