লক্ষ্মীর ভান্ডার পেতে গেলে এবার প্রতি মাসে দিতে হবে ২০০ টাকা? বিরাট তথ্য সামনে এল

বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন ভাতা-প্রকল্প চালাতে গিয়ে কোষাগার খালি সরকারের! এই আবহে ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। এবার থেকে কি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প পেতে গেলে মহিলাদের টাকা দিতে হবে! প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে দিলে, তবেই মিলবে লক্ষ্মীর ভান্ডার?

Parna Sengupta | Published : Aug 25, 2024 2:54 AM IST
115

লক্ষ্মীর ভান্ডারের এক চালে বিজেপিকে লোকসভা ভোটে মাত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। লক্ষ্মীর ভান্ডার ভোটবাক্সে সাফল্য দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

215

বিজেপিকে বাংলায় হোয়াইট ওয়াশ করার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে এই প্রকল্প।

315

আগে এই প্রকল্পের আওতায় প্ৰতি মাসে পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন বাংলার মহিলারা। পরে তা বাড়ানো হয়।

415

ইতিমধ্যেই বর্ধিত ভাতা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। আগে যেখানে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেতেন, সেই জায়গায় এখন তারা প্রতি মাসে পান ১ হাজার টাকা।

515

অন্যদিকে আগে যে সকল তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে পেতেন ১ হাজার টাকা, সেই জায়গায় এখন তারা পান ১২০০ টাকা।

615

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখে চালিয়েছিল তৃণমূল। বহু জায়গায় এই প্রকল্প নিয়ে বলতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের। এবার এল নয়া আপডেট!

715

এবার থেকে কি লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়ার জন্য প্রতিমাসে ২০০ টাকা করে দিতে হবে বাড়ির মহিলাদের! এমনই অভিযোগ নিয়ে এলেন বীরভূমের (Birbhum) সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলারা।

815

একটি শিবির তৈরি করা হয় সিঙ্গি গ্রামে। সেই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েতের ট্যাক্স কালেক্টর অশোক প্রামাণিক। সেখানে তার সাথে হাজির ছিলেন কিছু সঙ্গীসাথীও।

915

আর এইদিন এই শিবিরের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠল সিঙ্গি গ্রামের মানুষজন। অশোক প্রামাণিকও ভাবতে পারেননি যে, আম জনতা এরকম ক্ষেপে উঠতে পারেন বলে।

1015

এইদিন শিবিরে উপস্থিত মানুষজন থেকে শুরু করে এলাকাবাসীরা জানান, তাদের থেকে আধার কার্ডের জেরক্স, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য নেওয়া হয়েছে। এসবের পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছে দাবি করা হচ্ছে ২০০ টাকা।

1115

টাকা না দিলেই নাকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বার্ধক্য ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।

1215

হুমকি শুনে প্রাথমিকভাবে ঘাবড়েই যান গ্রামের মহিলারা। টাকা দিতে লাইনেও দাঁড়ান। ২০০ টাকার বদলে প্রত্যেক মহিলার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া রশিদ।

1315

তবে বিষয়টা গোটা গ্রামে চাউর হতেই ক্ষেপে ওঠেন বাকি বাসিন্দারা। একজোট হয়ে এর প্রতিবাদ শুরু করতেই থতমত খেয়ে যান অশোক প্রামাণিক।

1415

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অশোক প্রামাণিক‌। তিনি বলেন, ‘বাড়িঘর জায়গা জমির হিসেব অনুযায়ী কারো কাছে ২০০ টাকা, কারো কাছে ৫০০ টাকা কর নেওয়া হচ্ছে। তিনি কাউকে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলেননি।’

1515

অন্যদিকে গ্রামের মহিলাদের দাবি, কারও কাছেই আলাদা আলাদা টাকা নেওয়া হয়নি। প্রত্যেকের কাছেই ২০০ টাকাই নেওয়া হয়েছে। এমনকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বার্ধক্য ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos