চলতি বছরে দুর্গোৎসব নিয়ে চলছে একের পর এক বিতর্ক। আরজি কর কাণ্ডের মাঝে প্রতিবাদ ছেড়ে উৎসবে ফেরার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। এখনও চলছে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত। তদন্তে সঠিক সত্য সামনে আসার আগেই উৎসব শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার পিতৃপক্ষে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো উদ্বোধন। তবে, এবার প্রথম নয়। শেষ কয় বছর ধরে পিতৃপক্ষেই চলছে পুজোর উদ্বোধন।
এদিকে আবার এবার ‘পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন করি না’ বলা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু, সকলেরই জানা শেষ কয় বছরে পিতৃপক্ষেই উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, প্রতিমার উদ্দেশে পুষ্পার্ঘ্যও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতকাল শ্রীভূমিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ উৎসব উৎসারিত হল। এরপর অনেকেই বলতে পারেন, পিতৃপক্ষে পুজোর উদ্বোধন করে দিলেন। কিন্তু, আমি তেমন নই। ধর্ম সম্পর্কে আমার যথেষ্ট জ্ঞান আছে। আমার বাবা নিয়মিত চণ্ডীপাঠ করতেন।
পিতৃপক্ষে পুজোর উদ্বোধন নিয়ে নানান বিতর্ক হয়েছে। বিরোধী দলনেতারা নানান মন্তব্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যে শাস্ত্র মেনে চলছে না, তা বলেছেন অনেকেই।
তবে, পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন করা, দেবীকে পুষ্প অর্পন করা শাস্ত্র মতে আদৌ কি শুভ? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
পশ্চিমবঙ্গ বৈদিক আকাদেমির সচিব নবকুমার ভট্টাচার্য এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন।
তিনি বলেন, শাস্ত্র অনুযায়ী ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বোধন। সায়ং সন্ধ্যাষুকারয়েৎ। বোধন আর উদ্বোধনের ফারাক তৈরি করলে কিছু বলার নেই। তবে, সেটা মহালয়ায় বা তার আগে হলে সেটি অশাস্ত্রীয়।
শাস্ত্র মতে, ভাদ্র পূর্ণিমার পর দিন থেকে শুরু পিতৃপক্ষ। অর্থাৎ মহালয়ার অমাবস্যা পর্যন্ত যে কৃষ্ণপক্ষ সেটি পিতৃপক্ষ। এই দিন এক মহালয়ে সমবেত হন পূর্বপুরুষেরা। এই পক্ষে তর্পণের সঙ্গে পিণ্ডদান করা যায়।