ওড়িশার কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজনীতি করছে। কখনও আলু সরবরাহে অনুমতি দেয়, আবার কখনও তা বন্ধ করে দেয়। তবে এ বার আর আমরা তাদের কাছে আলু সরবরাহের জন্য অনুরোধ করব না।'
ভিন রাজ্য আলু রফতানি নিয়ে আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আলুর চাহিদা মিটিয়ে তারপরই তা রফতানি করতে বলেছিলেন। আপাতত আলুর রফতানি বন্ধ। এই অবস্থায় আলুর জোগান কমায় বাংলাকেই দায়ী করল প্রতিবেশী ওড়িশা। 'মমতা বন্দ্যোপা্যায়ের সরকার আলু নিয়ে রাজনীতি করছে', এই অভিযোগ করেন ওড়িশার কৃষিমন্ত্রী ক্রুশ্নাচন্দ্র পাত্র। যদিও তার উত্তর দিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
ওড়িশার কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজনীতি করছে। কখনও আলু সরবরাহে অনুমতি দেয়, আবার কখনও তা বন্ধ করে দেয়। তবে এ বার আর আমরা তাদের কাছে আলু সরবরাহের জন্য অনুরোধ করব না।' তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আলু নিয়ে আর বাংলার সঙ্গে কোনও আলোচনা করবেন না তাঁরা। বাংলা যদি স্বেচ্ছায় আলু দেয় তাহলে তারা তা নেবেন। তিনি আরও বলেন, এবার থেকে আলুর জন্য বাংলার ওপর আর ভরসা না করে উত্তর প্রদেশের ওপরই ভরসা করবেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যবাসীর আলুর জোগানের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। আগামী দুই বছরের মধ্যে ওড়িশা আলু উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তবে ওড়িশার মন্ত্রীর পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এখানে রাজনীতি আসছে কোথা থেকে? মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই রাজ্যের সব স্তরের মানুষের কাছে অল্প দামে আলু পৌঁছে দেওয়াটাই তাঁর কর্তব্য। তাই এ ক্ষেত্রে কোনও সঙ্কীর্ণ রাজনীতি নেই। এর মধ্যে যাঁরা রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা করছেন, তাঁরা হয়তো বিষয়টি বুঝতেই পারছেন না।' তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মানুষের চাহিদা মেটানোর পরই অন্যত্র আলু রফতানি করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও রকম রাজনীতি করছেন না। রাজ্যের মানুষের প্রয়োজনীয় আলুর জোগানের ব্যবস্থা করছেন।