সাগরমেলা শুরু হওয়ার আগেই সাগরে কোটি কোটি টাকার পাইলট প্রজেক্ট 'জলে', কংক্রিটের বাঁধের দাবি স্থানীয়দের

গঙ্গাসাগরে পাইলট প্রজেক্ট নামে ভাওতা দিচ্ছে শাসক দল দাবি বিরোধীদের। অভিযোগ ২০২২ এর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গঙ্গা সাগর কপিল মুনির মন্দির সম্মুখে সমুদ্র লাগোয়া নদীর চর ও সৌন্দর্যায়ন সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যায়।

আরও কিছু দিন পরেই সাগরে শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। কিন্তু তার আগেই নতুন বিপত্তি। কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে যে পাইল প্রজেক্টের কাজ চলছিল তাতেই নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। যা নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে উঠেছে। পাইলট প্রজেক্টের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

গঙ্গাসাগরে পাইলট প্রজেক্ট নামে ভাওতা দিচ্ছে শাসক দল দাবি বিরোধীদের। অভিযোগ ২০২২ এর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গঙ্গা সাগর কপিল মুনির মন্দির সম্মুখে সমুদ্র লাগোয়া নদীর চর ও সৌন্দর্যায়ন সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যায়। তাই সেই স্থানকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। জাপানের একটি সংস্থার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এলাকার উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ২০২৩ সালের গঙ্গাসাগর মেলার আগে ওই নদীর চরকে জাপানি প্রযুক্তিতে পাইলট প্রজেক্ট এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে। আর সেই লক্ষ্যেই ইঞ্জিনিয়ার ও বিশেষজ্ঞরা কাজ শুরু করে।

Latest Videos

 

সেইমতো জাপানের সমুদ্রের তীরে ব্যবহার করা ট্যাগ ব্যাগ দিয়ে বাঁধ তৈরি করে নতুন করে বালির চর সৃষ্টির সপ্ন দেখায় বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার। সাগর কপিল মুনির মন্দির লাগোয়া নদীর চরে আনুমানিক কুড়ি বাইশ দিন আগে শুরু হয় সেই কাজ। প্রথমে দেখা যায় সমুদ্রের চরে মাটি ধরে রাখতে কাঠের পাইলেন দিয়ে ট্যাগ ব্যাগে বালি ভরে সাজিয়ে দেওয়া শুরু হয়। এই ব্যাগগুলি উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি চট,লম্বায় ৮ ফুট চওড়ায় ৬ফুট। এলাকার মানুষের আশা জেগেছিল এই উন্নতি প্রযুক্তিতে সাগরের ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে । কিন্তু কে জানত কাজ শেষ হওয়ার আগে ভাঙ্গন শুরু হবে। কোটি কোটি টাকা জলে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে দাবি তুলেছে বিরোধীরা।

যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েক উপপ্রধান সজল কান্তি বারিক জানিয়েছেন তিনি টেকনিক্যাল বিষয় জানেন না। কিন্তু এলাকার মানুষের জমি বাঁচানোর কাজ তাঁরা করতে পেরেছেন। আয়লার সময় যে বাঁধ ভেঙে গেছে সেই জায়গার মানুষ বর্তমানে উপকৃত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন এলাকার প্রায় ২ হাজার মানুষ বাস করেন। গঙ্গার নদী বাঁধকে রক্ষা করার জন্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ করছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হচ্ছে নাষ সাগরবাসী এলাকায় বেশি দিন স্থায়ী ভাবে বাস করতে পারবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন সাগর এলাকা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের টাকা তোলার একটা রাস্তা। এখানে স্থায়ী কংক্রীট বাঁধ প্রয়োজন।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Bangladesh-এ হিন্দুনেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার, মুক্তির দাবিতে Md Yunus-কে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
Live | India vs Australia : পারথে সাড়ে তিন দিনে টেস্ট জয়, বিদেশের মাটিতে ভারতের সেরা সাফল্য?
ওয়াকফ বিলের (Waqf Bill) আঁচ বাংলার বিধানসভায়, দেখুন কী বললেন Suvendu Adhikari
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya