কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রের খবর বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসেই হল স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাগুলি। বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে উত্তীর্ণ হয়েছে।
পুলিশি অতিসক্রিয়া বা পুলিশি নিস্ক্রিয়তা মামলাগুলির শুনানি এতদিন পর্যন্ত হত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এবার থেকে সেই মামলার শুনানি থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের রোস্টার পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতেই এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি যাবে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে।
কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রের খবর বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসেই হল স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাগুলি। বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে উত্তীর্ণ হয়েছে। আর সেই কারণে এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি হবে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে।
কলকাতা হাইকোর্টের গরমের ছুটির আগেই প্রাধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বিচারপতিদের রোস্টার পরিবর্তন করেছিলেন। গরমের ছুটির পর থেকে সেই রোস্টার অনুযায়ী শুনানি শুরু হয়েছে। তাতেই নিয়োগ দুর্নীতির মামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ঘুম ওড়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতই কড়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
অন্যদিকে পুলিশ সংক্রান্ত মামলারগুলি এবার থেকে শুনবেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। ২-২২ সালের পর আবারও তাঁর এজলাসেই যাচ্ছে পুলিশের অতিসক্রিয়া ও নিষ্ক্রিয়তার মামলাগুলি। অন্যদিকে জুন মাসে বিচারপতি অমৃ়তা সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল।কারণ ছিল পুরনো একটি মামলা। জমি সংক্রান্ত সমস্যা। ৬৪ বছরের বিধবার সঙ্গে কয়েকজন আত্মীয়ের জমিজমা নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। জানায় পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত করেই বাপের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দাদা ও অন্যান্য আত্মীয়দের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ ছিল। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। বৃদ্ধার আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন তাঁর মক্কেলকে মাপধর করা হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজের কথাও বলেন। বৃদ্ধার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারী অভিযোগও করেছিলেন। যাইহোক এই মামলারই বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে। তাঁর বরুদ্ধে বেআইনিভাবে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেছিলেন বিধবা মহিলা। মামলার তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন মহিলা। সুপ্রিম কোর্টে বিধবার আর্জি ছিল, আইনজীবী কিংবা তাঁর বিচারপতি স্ত্রীর প্রভাব ছাড়াই দু’টি ফৌজদারি অভিযোগের যাতে সঠিক ভাবে তদন্ত হয়, তার নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। যদিও সুপ্রিম কোর্টে মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টের রোস্টার পরিবর্তন হয়েছিল।