পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্ত করছিল সিবিআই। এবার চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই।
মূল অভিযুক্ত অয়ন শীল
সিবিআই তদন্তে মূল অভিযুক্ত অয়ন শীল। যার নাম জড়িয়েছিল রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতেও। এবার তার বিরুদ্ধেই চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই-এর।
সিবিআই চার্জশিট
সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছে অয়ন শীলের জন্যই তারই সংস্থার এক কর্মী আত্মঘাতী হয়েছে। ২০১৮ সালে ওই ঘটনা ঘটে।
আত্মঘাতী কর্মী মিডিলম্যান
আত্মঘাতী কর্মী মিডিলম্যান । সূত্রের খবর পুরসভা নিয়োগের ক্ষেত্রে মিডিলম্যান হিসেবে কাজ করতেন এই কর্মী। পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী নামে অয়নের সংস্থার এক কর্মী এই কথা জানিয়েছে। বড়বাবু হিসেবেই তার পরিচিত।
বড়বাবুর কাজ
চাকরিপ্রার্থী জোগাড় থেকে শুরু করে তাঁদের থেকে টাকা তোলা এবং তাঁদের চাকরির বন্দোবস্ত করে দেওয়া, সবটাই দেখভাল করতেন বড়বাবু।
বড়বাবুই শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়
পূর্ণেন্দু জানান, বড়বাবু হিসেবেই তারা সকলে তাঁকে ডাকতেন। কিন্তু তাঁর আসল নাম শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মূল কাজ ছিল বেছে বেছে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তোলা। টাকা দিতেন অয়নের হাতে
প্রয়াত বড়বাবু
২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর আত্মহত্যা করেন বড়বাবু। সূত্রের খবর, চাকরিপ্রার্থীদের ঠকিয়ে টাকা তুলতে তুলতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তাই আত্মহনের পথ বেছে নেন।
সিবিআই সূত্র
পুরসভায় চাকরির কথা বলে যে সকল চাকরিপ্রার্থীদের থেকে শ্রীকুমার টাকা তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন চাকরি না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন। তাতেই কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন বড়বাবু। সুইসাইড নোটে তেমনই উল্লেখ রয়েছে বলেও দাবি সিবিআই-এর।
টাকা দিতে অস্বীকার
সিবিআই সূত্রের খবর টাকা ফেরত দিতে চাননি অয়ন। সেই কারণে শ্রীকুমারের ওপর চাপ বাড়ছিল। তাতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
প্রশ্নকর্তা অয়ন
সিবিআই দাবি জানিয়েছে, পুরসভায় নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতেন অয়ন নিজে। বেশ কিছু বইপত্র ঘেঁটে প্রশ্ন বানাতেন তিনি।