শাসক দলের ‘দুর্নীতি’-ই মূল অস্ত্র, নতুন মুখ নিয়ে এসে পঞ্চায়েত ভোটে গোষ্ঠীকোন্দলও এড়িয়ে যেতে পারবে বিজেপি

পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে বাংলার বিভিন্ন জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই জোরদার প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ পদ্ম শিবির।

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি আর পঞ্চায়েতের অন্দরের দুর্নীতিই শাসকদলের বিরুদ্ধে মূল হাতিয়ার বিজেপির। প্রার্থীবাছাইয়ের তালিকায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদেরই দলের মুখ করার পরিকল্পনা। গেরুয়া শিবিরের অস্ত্র এবার চাকরি প্রার্থীদের ক্ষোভ। পঞ্চায়েত ভোটে পদ্মপক্ষের প্রার্থী কৌশল। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সরগরম রয়েছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ এবং রাজনৈতিক মহলের বিরোধিতা। এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে এই নিয়োগ দুর্নীতিকেই প্রধান অস্ত্র করতে চায় পদ্ম ব্রিগেড।

বঙ্গের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে প্রচুর। তাই এবার দলের পক্ষ থেকে সরাসরি প্রার্থী করা হতে পারে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের। এমনই ছক কষছে বাংলার বিজেপি শিবির। দলীয় সূত্র মারফৎ খবর পাওয়া গেছে যে, সম্প্রতি হেস্টিংসে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল নিয়ে বৈঠক করেছেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে ইত্যাদি উচ্চপদস্থ নেতৃত্বরা। সেখানেই কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ তথা নির্দেশ, পঞ্চায়েত ভোটে নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে সবথেকে বেশি জোর দিতে হবে।

Latest Videos

পদ্ম শিবিরের কৌশল, পঞ্চায়েত ভোটে যাঁদের প্রার্থী করা হবে, তাঁদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকে কেউ বিজেপির হয়ে লড়তে চাইলে, তাঁকে দল অগ্রাধিকার দেবে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, 'প্রতিবাদীরা আসুক বিজেপি চায়। এরা কেউ প্রার্থী হলে তো অন্যায় নেই'।’ ২০২৩-এর শুরুতেই বাংলার গ্রামে গ্রামে ভোট। বিজেপি মনে করছে, গ্রামগঞ্জে এমন বহু ভোটার রয়েছেন, চাকরি না পাওয়ার ক্ষোভে যাঁরা শাসকদলের বিরুদ্ধে রুষ্ট হয়ে রয়েছেন। দলকে তাঁদের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। সমস্ত স্তরে দলের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।

রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিবাদীদের দিকেও বিশেষ নজর রেখেছে গেরুয়া বাহিনী। আন্দোলনকারীদের শাসক-বিরোধী ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েই পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করার স্ট্রাটেজি রেখেছে বিজেপি। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বদের নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বঞ্চিতদের খুঁজে বের করতে হবে। জানতে হবে তাঁরা ভোটে লড়তে রাজি কিনা। ভোটে লড়তে যাঁরা রাজি, তাঁদের নাম নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিবাদীদের ভোটের টিকিট দিলে, দলের অন্দরে নতুন মুখ নিয়ে আসার পরিকল্পনা সফল করতে পারবে বিজেপি, এতে যেমন একদিকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীপদ নিয়ে দলের ভেতরকার গোষ্ঠীকোন্দল এড়ানো যাবে। অন্যদিকে, শাসকের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে ভোটবাক্সেও বড়সড় প্রভাব আনা যাবে। এভাবেই ‘দুর্নীতি’-কাঁটায় এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন-
ফের কমে গেল কলকাতার তাপমাত্রা, রবিবার বঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই আকাশ অংশত মেঘলা
 অভিনব উপায়ে টাকা লুঠ করা হত বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলিতে, ইডির নজরে অবাক করা কাণ্ড!
হোয়াটসঅ্যাপের কল আটকানোর জন্য চালু হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা, আর কী কী বিশেষ ফিচার নিয়ে আসছে এই অ্যাপ?

Share this article
click me!

Latest Videos

Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
Suvendu Adhikari Live: বিধানসভার বাইরে মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন সরাসরি
'বালি চুরি, কয়লা চুরিতে যুক্ত পুলিশদের একাংশ' বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul