ভর সন্ধ্যেবেলা কলকাতা সংলগ্ন মহেশতলায় একটি বাজি কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের।
ভর সন্ধ্যেবেলা কলকাতা সংলগ্ন মহেশতলায় একটি বাজি কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। গোটা এলাকা বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে। কারখানায় পুরোপুরি আগুন লেগে যায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের মধ্যে রয়েছে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, পুত্র ও একজন প্রতিবেশী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ ও দমকম বাহিনী। কিন্তু আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যে ৬টা নাগার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় লিপিকা হাতি, শান্তনু হাতি ও অলোক দায়ের। লিপিকা বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী। শান্তনুর বয়স মাত্র ১৭ , সে বাজি কারখানার মালিকের ছেলে। এই বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। পুলিশ জানিয়ে পুটুখালি মণ্ডল পাড়া এলাকায় এই ঘনবসতি এলাকাতেই বাজি কারখানাটি ছিল। কিন্তু কি করে ঘনবসতি এলাকা বাজি তৈরিক কারখানা তা নিয়ে ধ্বন্দে রয়েছে পুলিশ। কারণ সাধারণ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাজি তৈরির কারখানার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর তিনটি মৃতদেরই ময়না তদন্তের জন্য স্থানীয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে পুটুখালি মণ্ডল পাড়ায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পরই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে দমকল বাহিনী। মহেশতলা ও বজবজ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু ততক্ষণ আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের কথা কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। সেই কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার মধ্যেও অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না।
মহেশতলা থানার পুলিশ জানিয়েছেন , ঘটনার তদন্ত হবে। দমকল বাহিনীকেও রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এটাই প্রথম নয় , এর আগেও এজাতীয় দুর্ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাজি শিল্প রয়েছে। যা বর্তমানে কুটির শিল্পের আকার নিয়েছে। ঘরে ঘরেই রয়েছে বাজি কারখানা। সেখানে কোনও রকম নিরাপত্তা বিধি না মেনেই কাজ করা হয়। যা নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসন। কিন্তু এই কাজ বন্ধ করা যায়নি। আর সেই কারণেই যেকোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই থাকে। আগেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বাজি শিল্পকে কেন্দ্র করে। কারণ কারখানাগুলিতে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত থাকে, থকে না নিরাপত্তার বালাই।