ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় ৪.০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে। বাংলাদেশের তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। ইতিমধ্যেই সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাহ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশের পরিস্থিতির আঁচ যাতে ভারতে না পড়ে তার জন্য প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সরকার। সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী বা বিএসএফ, সোমবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ান হয়েছে।
বিএসএফ-এর প্রধান ভারপ্রাপ্ত দলজিৎ সিং চৌধুরী ও অন্যান্য সিনিয়র কমান্ডার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কলকাতায় এসেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।
বিএসএফ সূত্রের খবর সমস্ত ফিল্ড কমান্ডারকে নিজের এলাকায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ডিউটিতে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও বিএসএফ সূত্রের খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফ কর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের কারণে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশ সীমান্ত নিযুক্ত সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে সমস্ত ইউনিটকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ ভারতের পূর্বদিকের পাঁচটি রাজ্যের সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেওয়া রাজ্যগুলির মধ্যে প্রধান হল পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্য ২২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত বাংলাদেশ লাগোয়া। তারপরই রয়েছে ত্রিপুরা- ৮৬৫ কিলোমিটার, মেঘালয় ৪৪৩ কিলোমিটার, অসম ২৬২ কিলোমিটার, মিজোরাম ৩১৮ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তারপরই তিনি দেশ ছেড়ে চলে যান। দেশবাসীর কাছে শান্তির আবেদন জানালেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার ইজ জামান। তিনি বলেন,দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে দেশ চালাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তৈরি হবে অন্তবর্তী সরকার। তিনি জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।