পঞ্চায়েত ভোটে এই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছিল ৫৪ জনের। তেমনই অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। পরে রাজ্য জানিয়েছিল ভোটে নিহতদের পরিবারকে চাকরি ও আর্থিক সাহায্য দেবে।
পঞ্চায়েত ভোটের বলি ৫৪ জনের পরিবারকে কি রাজ্য সরকার ক্ষতিপুরণ দিয়েছে? সোমবার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর মামলায় এমনটাই প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের। এদিন রাজ্যের কাছে এই মর্মে হলফনামাও তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি। পঞ্চায়েত ভোটে যারা মারা গিয়েছে তাদের নামও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কাদের চাকরি আর কাদের ক্ষতিপুরণ হিসেবে আর্থিক সাহায্য আদালত তারও হিসেব চেয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটে এই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছিল ৫৪ জনের। তেমনই অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। পরে রাজ্য জানিয়েছিল ভোটে নিহতদের পরিবারকে চাকরি ও আর্থিক সাহায্য দেবে। কিন্তু পঞ্চাায়েত ভোটের দুই মাস পরে সাহায্য পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ বরোধীদের। এই অভিযোগ নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় প্রধানবিচারপতির এজলাসে।
গত ১৪ জুলাই রাজ্য সরকার জানিয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। পরিবারের একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৭ জনের ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতি পুরণ হয়েছে। বাকিদের ক্ষেত্রে কী হল- আদালতে এমনটাই প্রশ্ন করেন অধীর চৌধুরীর আইনজীবী। মামলাকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার আদালত রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় হিংসার ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারকে কী ৭তিপুরণ দেওয়া হয়েছে?এব্যপারে আদালতে হলফনামা দিয়ে জমা দিতে হবে। কোন কোন মৃতের পরিবারের সদস্য হোমগার্ডের চাকরি পেয়েছেন, কাজেরই প্রতিশ্রুতিমত ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে - তার সমস্ত তথ্যই হলফনামা আকারে পেশ করতে হবে।'আদালত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য ৮ দিন সময় সময় দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। আদামী ১৬ সেপ্টেম্বর হলফনামা জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত অধীর চৌধীরের মামলায় বলা হয়েছিল, ক্ষতিপুরণের টাকা কাদের পরিবার পেয়েছে, কারা চাকরি পেয়েছে তা স্পষ্ট নয়। অনেক আহত ক্ষতিপুরণের টাকা পায়নি। তাই একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকদের কাছেও থাকা প্রয়োজন।