প্রয়োজনে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতেও তদন্ত করতে পারে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Published : Apr 21, 2023, 06:47 PM IST
Calcutta High Court

সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যেই মামলা দয়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল সিবিআই-এর হাতে। 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সামনে আসছে একের পর এক তথ্য। অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য। উঠে এসেছে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। এবার পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তও করতে পারবে সিবিআই। ইডির দাবি,'পুরসভা দুর্নীতিতেও যোগ রয়েছে অয়ন শীলের। তল্লাশিতে উঠে আসছে একাধিক নথিও।' ইতিমধ্যেই মামলা দয়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল সিবিআই-এর হাতে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নথি। প্রত্যেকদিনই আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসছে। তাই আজই এই মামলার শুনানির জন্য আবেদন জানাল ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুরও করে আদালত। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ হয় এই শুনানি। শুক্রবার ইডির আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অনিয়মের নথি উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন। এ বিষয় বেশ ইছু নথি সিবিআই-কেও দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,'চাইলে নতুন এফএইআর দায়ের করে সিবিআই এই বিষয় তদন্ত করতে পারে।' পাশাপাসি এই ব্যাপক দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-এর আর কত জন আধিকারিক লাগবে তাও আদালতকে জানাতে বলেন বিচারপতি। আগামী ২৮ এপ্রিল এই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেবে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জানা গিয়েছে শুধু পুরসভা নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের অবাধ বিচরন ছিল প্রাথমিক স্কুলের নিয়োগেও। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, অয়নকে টাকা দিলে নাকি ধরাবাঁধা ছিল চাকরি। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০ জনের চাকরি নিয়ম বহির্ভূতভাবে করিয়েছিলেন অয়ন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হুগলির বাসিন্দা। এবং এদের প্রত্যেকেরই চাকরি হয়েছে টাকার বিনিময় বলে দাবি ইডির। প্রসঙ্গত, এর আগেও অয়নের বিপুল পরিমান হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারীরা। এবার পুরসভা ও হাইস্কুলের বাইরেও এবার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতেও 'অয়ন-যোগের' প্রমাণ মিলছে।

তদন্তকারী সংস্থার দাবি অয়ন শীলরা মূলত ওএমআর শিট বিকৃত করার কাজ করত। অর্থাৎ যোগ্য প্রার্থীদের খাতায় ঠিক উত্তরের পাশে ভুল উত্তরে টিক দিয়ে তাঁদের নম্বর কমিয়ে দেওয়াই ছিল অয়নদের কাজ। সেই জায়গায় টাকার বিনিময় নিয়োগ পেতেন অযোগ্য প্রার্থীরা। শুধু তাই নয় অযোগ্য প্রার্থীদের খালি ওএমআর শিটের পাশে সঠিক উত্তর লিখে খাতা ভরিয়েও দিতেন তাঁরা। শুধু শিক্ষক নিয়োগেই নয়, ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে আরও নানা পরীক্ষায়। সব ক্ষেত্র মিলিয়ে অয়ন প্রায় ১,০০০ চাকরিপ্রার্থীর থেকে ৪৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি ইডির। 

আরও পড়ুন - 

চলে গেলেন সৌগত রায়ের পত্নী ডলি রায়, স্ত্রীকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান তৃণমূল সাংসদ

ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক ডামাডোল, বাঁকুড়ার রাইপুরে বাড়ছে অস্বস্তি

'ওঁরা আগে ব্যাপ-বেটায় ঠিক করুক কে ঠিক বলছেন', মুকুল রায় ইস্যুতে কড়া জবাব দিলীপ ঘোষের

PREV
click me!

Recommended Stories

৭ জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা, আরও কত ডিগ্রি নামবে তাপমাত্রা? রইল আপডেট
Mamata Banerjee: ‘তৃণমূল বিজেপির কাছে মাথা নত করে না!’ কোচবিহারে রণহুংকার মমতার