রাজ্যে মিডডে মিলে দুর্নীতি হচ্ছে বলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিরোধী শুভেন্দু অধিকারীও অভিযোগ করেছেন। তারই ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে মিডডে মিলের কাজ খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি দল পাঠাবে।
আবাস যোজনার পর এবার মিডডে মিল প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন রাজ্যে মিডডে মিলে দুর্নীতি হচ্ছে বলে এই রাজ্যের একাধিক সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিরোধী শুভেন্দু অধিকারীও এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তারই ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে মিডডে মিলের কাজ খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি দল পাঠাবে। তবে এই প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। তিনি বলেছেবন রাজ্য ও কেন্দ্রের আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি হবে যৌথ প্রতিনিধি দল। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী পোষণ স্কিম বা PM Poshan Schemeএর অধীনে রাজ্যের স্কুলে দেওয়া হয় মিডডে মিল।
গত ৫ জানুয়ারি রাজ্যের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যেখানে রাজ্যে মিডডে মিলে দুর্নীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রকে একটি অডিট টিম পাঠানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল রাজ্যের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয় মিডডে মিল থেকে। তারই ভিত্তিতে এই যৌথ প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অন্যদিকে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে মিডডে মিলের জন্য অতিরিক্ত ৩৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। বর্তমানে রাজ্যের ১১.৬ মিলিয়ন শিশু মিডডে মিল পায়। তাদের দুপুরের খাবারে ভাত, আলু, সোয়াবিন ও ডিম দেওয়া হয়। তবে এবার এই মেনুর পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন করে মিডডে মিলের খাবারে মুরগির মাংস দেওয়ার সুপারিশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে মরশুমি ফল দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। সরকার স্কুলের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে মিডডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে।
সম্প্রতি তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে বিজেপির একাধিক বিধায়ক যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা দল বদল করতে ইচ্ছুক। অভিষেকের এই দাবি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বর্তমানে তৃণমূল বুঝতে পেরেছে এই রাজ্যের মানুষের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠছে বিজেপি। আর সেই কারণেই মিথ্যাচার শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। এবারও বিজেপি শক্তি পরীক্ষা করবে। তিনি অভিযোগ করেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন মজা দেওয়ার সময় থেকে আটকাতে শুরু করেছিল। ভোটের পরেও সন্ত্রাসের পরিবেশ অব্যাহত ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে এই রাজ্যে লোকসভা ভোটে বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছে। ২০২১ সালে এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে বিজেপি। বর্তমানে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের একাধিক নেতা জেলে। বিজেপি এই উত্থান আটকাতেই তৃণমূল এজাতীয় দাবি করছে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।