বাংলা ভাগ ইস্যুতে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'চার মন্ত্রী বলেছেন, উত্তরবঙ্গে ভাগের কথা।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরাসরি বাংলা ভাগ নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। পাশাপাশি তিস্তা জলচুক্তি নিয়েও সরব হন। তিনি ইন্দো-ভূটান যৌথ নদী কমিশনের বিষয়েও কথা বলেন। নদী ভাঙন নিয়েও বিধানসভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা।
বাংলা ভাগঃ
বাংলা ভাগ ইস্যুতে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'চার মন্ত্রী বলেছেন, উত্তরবঙ্গে ভাগের কথা। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি। আসুক বাংলা ভাগ করতে। কী করে রুখতে হয় তা দেখিয়ে দেব। উত্তরবঙ্গ থেকে এত আসন পেল ওরা। তবু বাজেটে কিছু দিল না! এখন আবার বিভাজনের রীজনীতি করছে। ভোট চলে গেলে ভাগাভাগি ইস্যুতে নিয়ে আসা হয়। একজন বলছেন, মুর্শিদাবাদ- মালদা ভেঙে দাও। কেউ বলছেন, অসমের তিনটি জেলাকে নিয়ে নতুন কিছু করো। কেউ আবার উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করতে বলছেন।'
জল বন্টনঃ
তিস্তার জলবন্টন চুক্তি নিয়েও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর গরমকালে শুকিয়ে যায়। সেখানে তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিলে উত্তরবঙ্গের মানুষ পানীয় জল পাবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের ধাঁচে ভারত-ভূটান নদী কমিশন করার কথা নীতি আয়োগের বৈঠকে আমি বলে এসেছে।' তিনি আরও বলেন, তিস্তার জলবন্টন চুক্তি নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েও দিল্লিতে প্রতিবাদে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, বন্যার জন্য প্রতিবেশী রাজ্যগুলিকে টাকা দেওয়া হল। কিন্তু কেন্দ্র বাংলাকে কেন্দ্র কোনও টাকা দিল না বলেও অভিযোগ করেন। বলেন, ভূটান জল ছাড়লে কেন্দ্রকে চা জানানো হয়। কিন্তু রাজ্যকে জানানো হয় না বলেও দাবি করেন তিনি। বন্যায় বাংলার বনভূমি চাবাগান ভেসে যায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নদী ভাঙনঃ
নদী ভাঙনের সমস্যা বাংলার একটি বড় সমস্যা। বিধানসভায় তাই নিয়েও সরব হন মমতা। তিনি বলেন, 'বাংলা হল নৌকার মত , সব জল আমাদের রাজ্যে এসে পড়ে। আমাদের ভুগতে হয়। বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর উপল্থিতিতে রেকর্ড করিয়ে এসেছি।' জল নিয়ে বিধানসভার আলোচনার কপি লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসাদদের কাছে পাঠান হোক বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, তাঁরাও যাতে এই বিষয়টি উত্থাপন করতে পারে সেদিকে জোর দেওয়া জরুরি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।