বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মাঝেই ফের মোদী-মমতা সাক্ষাৎ, কী কী উঠে আসতে পারে বৈঠকে?

বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকেও।

Web Desk - ANB | Published : Nov 19, 2022 12:38 PM IST

আগামী মাসেই ফের মোদী-মমতা সাক্ষাতের সম্ভাবনা। রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দের মাঝেই দিল্লিতে মুখোমুখি হতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ৫ ডিসেম্বরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকেও। আগামী মাসেই মুখোমখি হতে পারেন মোদী-মমতা। কোন কোন বিষয় আলোচনা হতে পারে?

১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা, জিএসটি বাবদ বকেয়া-সহ রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের আটকে থাকা টাকা কেন্দ্রের কাছে দাবি করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বকেয়া টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য গত পরশুই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য বরাদ্দ মোট ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে প্রথম পর্যায়ের ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। নবান্নের দাবি গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া অর্থের পরিমাণ বর্তমানে ৭ হাজার কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ভাঙনের জেরে নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ফরাক্কা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকার মানুষদের। এবার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছরই গঙ্গা ভাঙনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ি ঘর, চাষের জমি তলীয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। পশ্চিমবঙ্গকে এই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

পশ্চিমবঙ্গ একটি নদী কেন্দ্রীক রাজ্য। গঙ্গার ৪০ হাজার কিউসেক জল ভাগীরথী-হুগলি নদীতে পাঠানোর জন্য তৈরি হয়েছিল ফারাক্কা ব্যারেজ। কিন্তু তার ফলে নদীর দু'ধারে যে পলি জমেছে তাতে প্রতি বছর নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। এই সমস্যার প্রতি এবার কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মোদীকে চিঠি লিখলেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে গঙ্গা ও ফুলহার দুই নদীর মধ্যে ৪ কিলোমিটার দূরত্ব ছিল, যা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র দেড় কিলোমিটারে। ভাঙনের জেরে ক্রমশ কমছে দুই নদীর মাঝের সমতলের পরিধি। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ১৩১ এ জাতীয় সড়কও। উল্লেখ্য এই জাতীয় সড়কই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগকারী সড়কপথ।

আরও পড়ুন -

আগামী সপ্তাহতেই হতে পারে নতুন রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, আনন্দ বোসকে দুটি দিনের প্রস্তাবও দিলেন মমতা

'চোরকে চোর বলতে শিখুন'- মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠাচ্ছে বিজেপি

জেলের মধ্যে সুপারিনটেনডেন্টকে দিয়ে পদসেবা, আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনের কাণ্ড দেখে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির

Share this article
click me!