অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শিশুদের নতুন করে মাস্ক পরার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন তাঁর বাড়িতেও রয়েছে আক্রান্ত।
রাজ্যে অ্যাডিনোভআইরাসের আক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় আগেই এই রোগ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হতে নিষেধ করেছিলেন। সোমবারদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শিশুদের মাস্ক পরাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের শিশুদের জন্য এই নির্দেশ এমন সময় এসেছে যখন রাজ্যে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বস্থ্য দফতর জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ১৩ জনের ছিল কোমরবিডিটি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিশুদের কাশি, সর্দি হলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে হবে। জ্বর থাকবে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। ইউনাইটেস নেশনস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে অ্যাডিনোভাইরাস হল এক ধরনের ভাইরাস যা শরীরে , বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রকে আক্রান্ত করে। হালকা থেকে গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। ভাইরাসটি শিশুদের দ্রুত সংক্রমিত করতে পারে। এই রাজ্যের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ২ বছরের কমবসয়ী শিশুদের কাছে এটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নবজাতকরাও আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় আরও জানিয়েছেন অ্য়াডিনোভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে তার পরিবারের এক সদস্যও। তবে কোন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন তা তিনি স্পষ্ট করে জানাননি। মমতা বলেছেন, 'আমার পরিবারের একদন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত। আমি এসব কথা বলে বেড়াই না।'তবে ভাইরাসটি মোকাবিলার জন্য রাজ্যসরকার তৎপর ও দ্রুত পদক্ষেপ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের নিশানা করে মমতা বলেন, বলা হচ্ছে এসএনসিইউ (সিক নেটাল কেয়ার ইউনিট) নেই। তিনি বলেন, সিপিএম-এর জমানায় একটিও ছিল না কিন্তু এখন ১৩৮টি হাসপাতালে ২৪৮৬টি এনএনসিইউ রয়েছে।
মমতা বলেছেন, 'কোভিডের পরই অসুন্খ হলে আমরা ভয় পাই। তারণ সেই সময় পরিজনদের আমরা হারিয়েছিলেন। আমি আমার ভাইকে হারিয়েছে।' এদিন মু্খ্যমন্ত্রী বলেন কোভিডের সময় থেকে এখন রাজ্য স্বস্থ্য দফতর পরিকাঠামো বাড়িয়েছে। তিনি বলেন,'আমরা প্রত্যেকেই বাচচাদের ভালবাসি। আর যাতে কারও না হয় তাই আবার মাস্ক পরুন। '
বিশেষজ্ঞদের কথায় অ্যাডিনোভাইরাস হালকা থেকে গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। সাধারণ সর্দি, কাশি, ফ্লু বা গলা ব্যাথা, তীব্র ব্রঙ্কাইটিস , নিউমোনিয়ার সঙ্গে মিল রয়েছে এই রোদের। চরম অবস্থার ফলে নিউমোনিয়া ও ফ্যারিজ্ঞিয়াল কনজাংটিভাল জ্বরের মত পরিণতি হতে পারে। যেসব শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে বা কার্ডিয়াক ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের কাছে এই রোগ মারাত্মক হতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।