কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির আধিকারিক জনক কুমার গর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি বলেন, তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।
কী কারণে দুর্ঘটনার কবলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস? সিগন্যাল দুর্ঘটনা না চালকের গাফিলতি- তা এখনও স্পষ্ট নয়। রেলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেলের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি বিভাগ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনারতদন্ত শুরু করেছে কাটিহার ডিভিশনের কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএস সুরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন এদিন থেকেই সদস্যরা সবকিছু খতিয়ে দেখবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আধিকারিকরা কাজ শুরু করেছেন। যে সময় ঘটনা ঘটেছে, সেই সময় যারা কর্মরত ছিলেন তাদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। তাঁদের বায়ান রেকর্ড করা হবে। দুর্ঘটনার প্রারথমি কারণও অনুসন্ধান করা হবে।
সিগন্যালের কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে অনেকেই দাবি করেছেন। অনেকে আবার মালগাড়ির চালকের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন। রেল কর্মীদের অসাবধানতার কথাও উঠে আসছে- কিন্তু এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মুখ খোলেনে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সেখানে গেলেও দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কোনও কথাই বলেননি। রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দুর্ঘটনা কারণ নিয়ে শেষকথা বলনে কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি।
সেইমত এদিন কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির আধিকারিক জনক কুমার গর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি বলেন, তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। ডিআরএম অফিসে বৈঠকও হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না। তিনি আরও বলেন, তদন্ত শেষেই স্পষ্ট হবে দুর্ঘটনার কারণ ।
দার্জিলিংএর ফাঁসিদওয়ায় মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে দ্রুতগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের। দূরপাল্লার তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে রেল জানিয়েছে মৃত্যু হয়েছে ৮ জন। মৃতদের মধ্যে ৫ জন যাত্রী ও তিন জন রেলকর্মী। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০ জন।