ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর দুর্যোগ, জানুন ঝড়ের আগে আর সময় কী কী করবেন- করবেন না

Published : May 26, 2024, 09:12 PM IST
Remal

সংক্ষিপ্ত

রবিবার আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে ঘূর্ণঝ়ড়ের কারণে সবথেকে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা , হাওড়া আর হুগলি। 

ঘূর্ণিঝড় রেমাল ধেয়ে আসছে। সঙ্গে নিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর এক দুর্যোগ। ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস। পাশাপাশি জানিয়েছে ঘূর্ণিঝ়়ড়ের আগে ও পরে কীভাবে সতর্ক হতে হবে। কোথা থেকে আর কীভাবে বিপদ আসতে পারে তা নিয়েও সতর্ক করে দিয়েছে হাওয়া অফিস।

রবিবার আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে ঘূর্ণঝ়ড়ের কারণে সবথেকে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা , হাওড়া আর হুগলি। মাটির বাড়ির পাশাপাশি কলকাতা ও হাওড়াতে বিপজ্জনক বাড়ি ঝড়ের কারণে বিপদের মধ্যে পড়তে পারে। অ্যাসবেস্টস, টিনের চাল থেকেই বিপদ হতে পারে। ঝড়ের সময়ে গাছের ডাল থেকেও রয়েছে। বিপদ। গাছের তলা এড়িয়ে যাওয়া শ্রেয়। বিদ্যুৎ, ফোনের টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফসল আর গাছের ক্ষতি হতে পারে। বড় গাছের কারণে ছোট গাছও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝ়ড়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে রইল ১০টি সতর্কতাঃ

১। গুজবে কান না নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের ওপর ভরতা রাখুন। আবহাওয়ার আপডেট জানতে সরাসরি আবহাওয়া দফতের ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও নজর রাখুন। সঠিক খবর সেখানেই পাবেন।

২। অত্যাবশ্যক সামগ্রী যেমন- জল, খাবার, ওষুধ সঙ্গে রাখুন। কাছাকাছি রাখুন। কিছু পোশাক অবশ্যই রাখুন।

৩। মোবাইলে চার্জ দিয়ে রাখুন। বাড়িতে যদি এমার্জেন্সি লাইট থাকে তাতেও চার্জ দিয়ে রাখুন।

৪। ভেঙে পড়া বিদ্যুতের স্তম্ভ থেকে দূরে থাকুন । রাস্তায় বিদ্যুতের তার ও কেবেল লাইনের তার থেকে বিপদ হতে পারে।

৫। জরুরি নথিপত্র , মূল্যবান সামগ্রী জল থেকে বাঁচিয়ে রাখতে ভাল করে প্যাকেট করে জল বাঁচিয়ে রেখে দিন।

৬। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

৭। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের ঝড়ের সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। ঝড়ের সময় ধরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৮। কাঁচা বাড়ি আর বিপজ্জনক বা়ড়িতে না থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে পারেন ঝড়ের সময়।

৯। ঝড়ের সময় কখনই খোলা আকাশের নিচে থাকবেন না। গৃহপালিত পশুকে বেঁধে রাখবেন না।

১০। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন । রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কন্ট্রোলরুম খুলেছে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

Adhir Ranjan Chowdhury: ‘বিজেপির সঙ্গে সংঘাতে যেতে চান না মমতা!’ শাসকের আসল উদ্দেশ্য ফাঁস করলেন অধীর
নন্দীগ্রামে SIR-এর কাজে কি সন্তুষ্ট কমিশন? খতিয়ে দেখলেন পর্যবেক্ষক নীলম মিনা