ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মে মাসেই এই ঘূর্ণইঝড় আছড়ে পড়ার কথা। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই একটি আছড়ে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
বাংলায় তাণ্ডব
হাওয়া অফিসের আপডেট অনুসারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলায় রীতিমত তাণ্ডব চালাতে পারে। আয়লা বা আমফানের মতই এটা শক্তিশালী হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে।
রেমালের জন্ম
হাওয়া অফিসের আপডেট অনুযায়ী ২৩ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে উপগ্রহচিত্র।
ঘূর্ণিঝড় তৈরির কারণ
ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার কারণ হল ১৯ মে থেকে আন্দামান উপসাগরে মৌসুমী বায়ু প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে প্রবেশ করবে। পাশাপাশি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে পর্যাপ্ত জয়ীল বাষ্প সংগ্রহ করে এই নিম্নচাপ বলয় শক্তি বৃদ্ধি করবে। তবে এই বিষয়ে আবহাওয়া দফতর এখনও নিশ্চিত নয়।
নিম্নচাপ তৈরির ইঙ্গিত
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে উত্তর আন্দামান সাগরে ২৫ মে একটি গভীর নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে। এটি আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
শক্তি বৃদ্ধির কারণ
হাওয়া অফিসের মতে এটি জলভাগের ওপর দিয়েই এগিয়ে আসবে। তাই শক্তিক্ষয় হবে না। এটি ক্রমশই শক্তি সঞ্চয় করতে করতে এগিয়ে আসবে। ২৮ মে এটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ঘূর্ণিঝড় তৈরি
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এটি ২৯ মে অথবা ৩০ মে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। তবে পুরোটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনও নিম্মচাপই তৈরি হয়নি। আর সেই কারণেই পুরো বিষয়টাই অনুমান নির্ভর রয়েছে।
মৌসম ভবনের দাবি
আবহাওয়া দফতরের কথায় যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে নাম রাখা হবে রেমাল। আবহাওয়া দফতর বর্তমানে আবহাওয়ার গতিবিধির ওপর নজর রাখছে। এটি কতটা শক্তিশালী হতে পারে তার ওপরেও নজর রাখা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আগাম পূর্বাভাস নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
এদিনও দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলায় উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া ছিল। তাপমাত্রার পারদ আগামিকালও চড়বে।
সপ্তাহ-অন্তে বৃষ্টি
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার ও রবিবার গোটা রাজ্যেই ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সেই দিনও কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।