পর্যটকদের ভিড় শুরু হওয়ার আগেই সৈকত শহরের পরিচ্ছন্নতায় জোর দিঘা প্রশাসনের।
পুজোর ছুটিতে কাছেপিঠে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাঙালির লিস্টে দিঘা থাকবেই। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব দূর্গাপুজো। শহরের পাশাপাশি সেজে উঠছে পর্যটন কেন্দ্রগুলিও। উৎসবের মরশুমে দলে দলে লোক ভিড় করে পাহাড় কিংবা সমুদ্রে। পুজোর ছুটিতে অল্পদিনে কম খরচে ঘোরার জায়গা বলতে প্রথমেই নাম আসে দিঘার। পর্যটকদের ভিড় শুরু হওয়ার আগেই সৈকত শহরের পরিচ্ছন্নতায় জোর দিঘা প্রশাসনের। পুজোর আগেই আপাদমস্তক পালটে যাবে দিঘার খোলনোলচে। কী কী পরিবর্তন আসতে চলেছে স্বপ্নসুন্দরী দিঘায়?
পুজোর মুখে ফের দিঘার সৈকতে অস্থায়ী দোকান বন্ধের উপর জোর দিচ্ছে দিঘা-শঙ্করপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মাইকিং। ১৩ অক্টোবর থেকেই ওল্ড ও নিউ দিঘায় কোনও রকমের অস্থায়ী দোকানের বসার উপরও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মূলত সমুদ্র সৈকতের সৈন্দর্য রক্ষার জন্যই নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
দিঘার সৈকত জুড়ে ঝিনুকের জিনিস, মাছ ভাজা, চাউমিনের অস্থায়ী দোকানের রমরমা। কিন্তু এর ফলে নষ্ট হচ্ছে না তো সৈতক শহরের সৌন্দর্য? এটাই এখন বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে দিঘা প্রশাসনের। তবে এই দৃশ্য কেবল নিউ দিঘা নয়। বিকেল হলেই আচার থেকে গয়নার দোকান। ফলে পথ চলতে সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। তাই এবার দিঘা সৌন্দর্যায়নের মধ্য দিয়ে এই দোকান না বসানোর হুঁশিয়ারি। দিঘা-শঙ্করপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটি। দিঘা-শঙ্করপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে দিঘা বিচ সহ সৈকতের রাস্তাতেও কোনও হকাররা বসতে পারবেন না। নির্দেশ না মানায় কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে।
একদিকে যেমন সৌন্দর্যায়ন অন্যদিকে পুজোর মরশুমে সমুদ্র সৈকতে বসায় নিষাধাজ্ঞা জারি হওয়ায় রুজিরুটিতে টান পড়তে পারে ছোট ব্যবসায়ীদের। পুজোর মুখে বাড়তি রোজগারের আশায় অস্থায়ী স্টল দেন অনেকেই। কিন্তু প্রশাসনের এই নির্দেশে চরম সমস্যায় তাঁরা।