পুলিশের নির্দেশ মেনেই সন্ধ্যার পর ময়না তদন্ত হয় আরজিকরের নির্যাতিতার! কেন তড়িঘড়ি পোস্টমর্টেম? সিবিআইয়ের হাতে এল পরের পর তথ্য
সূর্যাস্তের পরে আর ময়নাতদন্ত করা যায় না। কিন্তু আরজিকরের মৃত চিকিৎসকের ক্ষেত্রে তাই করা হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। তবে এই ময়না তদন্তেও ঘোর আপত্তি জানিয়েছিল পোস্টমর্টেম বোর্ডে থাকা সদস্যরা। কিন্তু তাতে বিন্দু মাত্র আমল দেয়নি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তড়ঘড়ি ময়নাতদন্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসককে টালা থানার তরফে দেওয়ার চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই নিয়েই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। ৯ অগাস্ট দেহ উদ্ধারের পরেই নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত সেরে ফেলতে চেয়েঠিল প্রশাসন। এই নিয়ে একটি বিশেষ বোর্ডও গঠন করা হয়। এই বোর্ডে ছিলেন, আরজিকরের ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাস, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর রিনা দাস এবং নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মলি বন্দ্যোপাধ্যায়।
বোর্ড গঠনের নির্দেশিকায় এক সদস্য নোট দিয়ে জানিয়েছিলেন, বিকেলে ৪টের পরে ময়নাতদন্ত করতে গেলে পুলিশের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা লাগবে। এই বিষয়ে ২০২১ সালে স্বাস্থ্য দফতরের একটি নির্দেশিকার মেমো নম্বরও উল্লেখ করেন ওই সদস্য।
জানা গিয়েছে ওই নোট পাওয়ার পরেই টালা থানার তরফে চিকিৎসক প্রবীর চক্রবর্তীকে একটি চিঠি দিয়ে বলেন বিশেষ কারণে বিকেল চারটের পরে তরুণী চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত করা যেতে পারে। এই চিঠি পাঠান টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
জানা গিয়েছে এরপরেই ময়নাতদন্ত করান আরজিকর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কেন সন্ধ্যার পর ময়না তদন্ত করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। কেন মৃতদেহ সংরক্ষণ না করে সূর্যাস্তের পরে ময়না তদন্ত করা হয়েছে এই নিয়ে গভীর প্রশ্ন জেগেছে তদন্তকারী সংস্থার মনে।