কালী পূজার ঠিক আগে কাটোয়ার গোওয়াই গ্রামের একটি পুকুরে একটি 'সোনার কালী' মূর্তি পাওয়া গিয়েছে, যা নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। গওয়াই গ্রামের মাঝিপাড়ায় পুকুরে স্নান করার সময় গ্রামের মেয়ে রিতু মাঝি একটি ধাতব কালো মূর্তি দেখতে পান। যেহেতু প্রতিমাটি সোনার মতো উজ্জ্বল, তাই গ্রামবাসীরা প্রথমে এটিকে সোনার বলে ধরে নিয়েছিল।
ফলে প্রতিমা দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পুরো গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা মূর্তিটিকে মন্দিরে রেখে পূজা করার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীর দাবিতে একজন স্বর্ণকারকে নিয়ে আসেন, যিনি মূর্তিটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে এটি পিতলের তৈরি। এই মূর্তিটি একটি দশ ইঞ্চি উচ্চ দক্ষিণকালী মূর্তি, যা গ্রামবাসীরা তাদের কালী মন্দিরে স্থাপন করেছে। এই বিষয়ে ঋতু মাঝি বলেন, পুকুরে স্নান করার সময় আমার হাতে কিছু আটকে যায়, পরে দেখি ওটা কালীমূর্তি। বাড়িতে নিয়ে এসে প্রতিবেশীদের দেখাই, তারপর মন্দিরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।"
কাটোয়ার গোওয়াই গ্রামটি তার ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য পরিচিত, বিশেষ করে বিহার কালী পূজায় হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের জন্য। বহু বছর ধরে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও এই পূজায় অংশগ্রহণ করে উৎসাহের সঙ্গে পূজা করে আসছেন। স্থানীয়দের মতে, এই ধরনের অনুষ্ঠান গ্রামবাসীদের মধ্যে কালী মায়ের মহিমা ও পারস্পরিক সম্প্রীতিকে শক্তিশালী করে।