রাজ্যের মহিলাদের টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বর্ধিত ভাতা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। আগে যেখানে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেতেন, সেই জায়গায় এখন তারা প্রতি মাসে পান ১ হাজার টাকা।
রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সরকারের প্রত্যাবর্তনের পিছনে যার সবচেয়ে বড় যে ভূমিকা রয়েছে সেটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্প যেমন ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক ভোট এনে দেয় তৃণমূলের ঝুলিতে, ঠিক সেই রকমই ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও এই প্রকল্পকেই হাতিয়ার করে বিরাট জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
এখন রাজ্যের মহিলাদের টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বর্ধিত ভাতা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। আগে যেখানে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেতেন, সেই জায়গায় এখন তারা প্রতি মাসে পান ১ হাজার টাকা। অন্যদিকে আগে যে সকল তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে পেতেন ১ হাজার টাকা, সেই জায়গায় এখন তারা পান ১২০০ টাকা।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখে চালিয়েছিল তৃণমূল। বহু জায়গায় এই প্রকল্প নিয়ে বলতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের। তার পাল্টা আবার বিজেপির তরফ থেকে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারের কথা বলা হয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রত্যেকেই ভোটের সময় অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারকে সামনে রাখেন। এবার ভোট মিটতেই এই নিয়ে শুরু হল চর্চা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের পাল্টা হিসেবে BJP-র তরফ থেকে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার তুলে ধরা হয়। মেদিনীপুরের পদ্ম প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালও ভোট প্রচারে বেরিয়ে অন্নপূর্ণা ভান্ডারে মাসিক ৩০০০ টাকা দেওয়ার কথা বলেন। এবার এই নিয়েই ফ্লেক্স পড়ল মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপালে।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের গুড়গুড়িপাল পূর্ব গ্রাম সংসদ পূর্ব পঞ্চায়েত ভোটে BJP-র দখলে চলে যায়। এবারের লোকসভা নির্বাচনে এই সংসদে তৃণমূলের জুন মালিয়ার থেকে এগিয়ে ছিলেন BJP-র অগ্নিমিত্রা পাল। যদিও শেষ অবধি জয়ী হয়েছেন জুন। এবার ভোটের রেজাল্ট বেরনোর সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার নিয়ে ফ্লেক্স পড়ল গুড়গুড়িপালে।
সেই ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে, ‘গুড়গুড়িপাল পূর্ব গ্রাম সংসদে আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার ৩০০০ টাকা’। ১৫ জুন থেকে ৩০ জুন অবধি আবেদন করা যাবে বলে উল্লেখ রয়েছে সেখানে। ফ্লেক্সে আরও লেখা, ‘ফর্মের জন্য যোগাযোগ করুন বিজেপির মিথ্যাবাদী নেতাদের কাছে। প্রচারে গুড়গুড়িপাল পূর্ব গ্রাম সংবাদ’। যদিও কে বা কারা এই ফ্লেক্স লাগিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।