
বঙ্গে সেমি স্পিড ট্রেন ‘বন্দে ভারত’-এর যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র ৩ দিন আগে। ৩০ জানুয়ারি সদ্য এই বিলাসবহুল সুপারফাস্ট ট্রেনের উদ্বোধন করে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, যাত্রার দ্বিতীয় দিন থেকেই বাংলায় সাধারণ মানুষের রোষের শিকার হয়ে চলেছে ‘বন্দে ভারত’।
মালদহের নিকটে কুমারগঞ্জের পর দ্বিতীয় হামলাস্থল নিউ জলপাইগুড়ি। প্রথম হামলার মাত্র ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গের অন্দরে। ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ নাগাদ আপ নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনটিতে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের আগে কারশেড এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
যদিও এখনও পর্যন্ত এই দ্বিতীয়বার পাথর ছোড়ার কথা স্বীকার করা হয়নি রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে, এ বিষয়ে তাঁর এখনও পর্যন্ত কিছু জানা নেই।
বিশেষ সূত্র দ্বারা রেল পুলিশ ফোরসকে (আরপিএফ) জানানো হয়েছে যে, নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় পাথরের আঘাতে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের সি-৩ এবং সি-৬ কামরার জানলার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মালদহ টাউন স্টেশনে ঢোকার পরে কাচের চিড় নজরে আসে। এ বিষয়ে আরপিএফের সামসি পোস্টে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পরপর দু'দিন হামলা হওয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "এই দ্রুতগতির ট্রেন আমাদের দেশের গর্ব। তবে, দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, এটা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর, সেটা হচ্ছে বাংলাতে। এতে মানুষও বঞ্চিত হবে, দেশের সম্মানেও আঘাত লাগবে। যদিও তারপরও এখানকার সরকারের এ বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। কোনও প্রতিক্রিয়াও দিচ্ছে না। এ ঘটনা আটকানোর কোনও চেষ্টাও নেই। পরপর দু'বার এই ঘটনা ঘটল। তদন্ত করা উচিত। কিন্তু, সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাতে আছে। জানি না ওদের এতে প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে কি না। উদ্বোধনের সময় যে ধরনের বিতর্ক হয়েছিল তাতে সবার মনে এই প্রশ্ন উঠছে।”
উল্লেখ্য, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই হামলা করা হয়েছিল মালদহের কাছাকাছি দক্ষিণ দিনাজপুরের সামসির কুমারগঞ্জের কাছে। এই হামলার পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান দাবি করে NIA তদন্ত চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ঘটনার রেশ অব্যাহত থাকতে থাকতেই দ্বিতীয় হামলা করা হল উত্তরবঙ্গে।
আরও পড়ুন-
দমে যাওয়া কর্মীদের সক্রিয় করাই মূল লক্ষ্য: বর্ধমানে বামফ্রন্টের মঞ্চ থেকে সরব প্রকাশ কারাট
‘রাম ধোলাই’-এর পক্ষে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, আবাস যোজনার দুর্নীতি রুখতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাওয়াই