পরিস্থিতি সরেজমিনে পরীক্ষা করতেই কোচবিহার যাচ্ছেন রাজ্যপাল। রাতে কোচবিহার সার্কিট হাউসে থাকবেন তিনি। বিজেপি চাইছে শুক্রবার রাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে।
উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে করে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল। রাস্তায় গাড়িতে থাকাকালীন একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে তাঁর ফোনে। সব শুনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে থাকেন রাজ্যপাল।
মালবাজার শহরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত সরকারি অতিথি নিবাসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছেন তিনি। মিনিট কুড়ি অতিথি নিবাসে থাকার পর পুনরায় কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন। আচমকা সফরের মাঝে মালবাজার শহরে কিছুটা সময় কাটানোর খবর পাওয়া মাত্র প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা বেড়ে যায়।
উত্তপ্ত ভাঙড়, ক্যানিংয়ে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মনোনয়ন পর্বের সময় ক্যানিং এবং ভাঙড়ে চূড়ান্ত অশান্তি ছড়ানোর কারণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। এখন তিনি উত্তরবঙ্গেই আছেন। গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহার। রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহের বিধানসভা এলাকা দিনহাটা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের লোকসভা কেন্দ্রে রক্ত ঝরেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। জখম হয়েছেন অন্তত ছজন।
এই পরিস্থিতি সরেজমিনে পরীক্ষা করতেই কোচবিহার যাচ্ছেন রাজ্যপাল। রাতে কোচবিহার সার্কিট হাউসে থাকবেন তিনি। বিজেপি চাইছে শুক্রবার রাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। অন্য দিকে, তৃণমূল তাকিয়ে রাজ্যপালের কর্মসূচির দিকে। যদিও এখনও রাজ্যপালের পরবর্তী কর্মসূচি জানা যায়নি। তবে শুক্রবার রাতে রাজ্যপালের সময় না পেলে শনিবারও দেখা করতে চায় বিজেপি।
নির্বাচনের আগের এই অশান্তি নিয়ে কয়েকদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন কোচবিহারে একের পর এক অশান্তির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। উত্তরবঙ্গে থাকাকালীন পরিষ্কার জানিয়ে ছিলেন "আমার উদ্দেশ্য হল রাজ্যের পরিস্থিতি অবিলম্বে বদলাতে হবে। আমরা এটা আর সহ্য করতে পারি না এবং আমরা এটা আর সহ্য করবও না।" নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক জেলায় এই রকমের অশান্ত পরিবেশ কোনওভাবেই সহ্য করা যায় না বলে জানান রাজ্যপাল।
এই ধরনের অশান্ত পরিবেশ বদল করতে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি রাজ্যপাল। তবে এই পরিস্থিতি অবিলম্বে বদলানো দরকার, তার জন্য সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা দরকার বলে জানান তিনি।