Biriyani: বিরিয়ানির সঙ্গে বিষ খাচ্ছেন না তো? রং আনতে মেশানো হচ্ছে মারণ রাসায়নিক!

দফতর সূত্রে খবর, শুধুমাত্র বিরিয়ানি নয়, ছোট দোকানগুলির চিকেন তন্দুরিতেও মেশানো হচ্ছে সস্তার অস্বাস্থ্যকর রং। খোদ দোকানদাররাই স্বীকার করে নিয়েছেন এই কথা।

Sahely Sen | Published : Oct 9, 2023 9:00 AM IST

দুর্গাপুজোর মেনুতে জমজমাটি বিরিয়ানি, বাড়িতে হঠাৎ অতিথি এসে পড়লেও গৃহস্থের সহায় সেই মোঘলাই খানা। কলকাতার বিরিয়ানি সারা ভারত জুড়েই আলু-প্রেমীদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। কিন্তু, বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সেই বিরিয়ানিকেই আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য মেশানো হচ্ছে এমন কিছু উপাদান, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই মারাত্মক। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তারা। 

সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর খাবারে ভেজাল ধরার জন্য দিঘা পর্যটন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়েছিল। সেখানেই জানতে পারা যায় যে, কাঠের আসবাবপত্র পালিশ করার জন্য যে রং ব্যবহার হয়, সেটাই মেশানো হচ্ছে বিরিয়ানিতে। খোদ দোকানদাররাই স্বীকার করে নিয়েছেন এই কথা। কলকাতার এক ফুডস্টল মালিক জানিয়েছেন যে, বিরিয়ানির রং সুন্দর করার জন্য যে খাদ্যযোগ্য রং দেওয়ার কথা, তার দাম প্রায় ৭০-৮০ টাকা। অন্যদিকে, কাঠ পালিশের রংয়ের প্যাকেটের দাম মাত্র ১০-১৫ টাকা। সেইজন্যেই ছোট দোকানদাররা বাধ্য হয়ে ওই অস্বাস্থ্যকর রং ব্যবহার করছেন।

দফতর সূত্রে খবর, শুধুমাত্র বিরিয়ানি নয়, ছোট দোকানগুলির চিকেন তন্দুরিতেও মেশানো হচ্ছে সস্তার অস্বাস্থ্যকর রং। যদিও সেই রঙের প্যাকেটে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, শুধুমাত্র শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, নির্দিষ্ট কোনও জায়গাতেই এই কাণ্ড ঘটছে, এমন নয়। বহু জেলার প্রচুর ছোট ছোট দোকানদার বিরিয়ানিতে কাঠ পালিশের রং ব্যবহার করছেন। অনেকে কামধনু ব্র্যান্ডের এক ধরনের রং মেশাচ্ছেন , যা দিয়ে সাধারণত কাঠ পালিশই করা হয়। শরীরের পক্ষে এই রং অত্যন্ত ক্ষতিকর।

Share this article
click me!