দিঘা নয়, বকখালি, কাকদ্বিপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারেও উঠেছে প্রচুর পরিমানে ইলিশ। ফলত কলকাতা-সহ বাংলার খুচরো ও পাইকারি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমানে আসছে রূপোলি ফসল।
রাজ্যে বর্ষা ঢুকলেও এখনও হাতের নাগালে নয় ইলিশের দাম। তবে এই সপ্তাহের শুরুতেই সুখবর এল দিঘা থেকে। বিগত কয়েকদিনে জালে উঠেছে প্রচুর পরিমানে ইলিশ। শুধু দিঘা নয়, বকখালি, কাকদ্বিপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারেও উঠেছে প্রচুর পরিমানে ইলিশ। ফলত কলকাতা-সহ বাংলার খুচরো ও পাইকারি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমানে আসছে রূপোলি ফসল। ফলত দামও বেশ খানিকটা কম। সূত্রের খবর। গত সাত-দশ দিনে প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে ইলিশের দাম।
মানিকতলা-পাতিপুকুর-বালিগঞ্জের পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম দাঁড়িয়েছে দেড় থেকে দু'শো টাকা কেজিতে। বাংলার ভোজন রসিকদের কাছে এ এক বড় সুখবর। বর্ষার শুরু থেকেই ইলিশের দাম কমার অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। দাম হাতের নাগালে এলেই মোটামোটি ভালো মাছ পাতে তুলতে পারবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এর আগেও পর পর দু'দিন বিপুল পরিমাণ ইলিশ জ্বালে উঠেছে। গতকালই দিঘার পাইকারি বাজারে প্রায় ৩৫-৪০ টন ইলিশ এসেছিল৷ আজ এসেছে প্রায় ৬০ টন। রূপোলি শষ্যের এহেন আমদানিতে খুশি মৎস্যজীবী থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা। প্রায় সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো গ্রাম, সাতশো গ্রাম থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের মাঝ ধরা পড়েছে এদিন।
জ্বালে বিপুল পরিমাণে মাছ ওঠায় ইতিমধ্যে দাম কমেছে দিঘায় পাইকারি বাজারে। ১ কেজি, ১২০০ গ্রামের মাছের দাম নেমেছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মাছের দাম ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে। খুচরো বাজারে এই দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বর্ষার মাঝামাঝি জালে উঠল বিপুল পরিমান ইলিশ। এতদিন বাজারে ইলিশ মাছ এলেও তার দাম ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তবে এবার ইলিশের দাম সাধ্যের মধ্যে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।