হুগলি জেলার পান্ডুয়া বিধানসভার খন্যান রেলপাড় এলাকায় ঘটে যাওয়া এক হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা উঠে এসেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এক স্কুলছাত্রী এবং তার পরিবার বর্তমানে গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় বসবাস করছেন।
হুগলি জেলার পান্ডুয়া বিধানসভার খন্যান রেলপাড় এলাকায় প্রায় ১০০টি বাড়ি ভেঙে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। দিশেহারা অবস্থা বাস্তুহারাদের। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা জানিয়েছে নোটিশে কোনও তারিখে উল্লেখ ছিল না। রেল কর্তৃপক্ষের এজাতীয় সিদ্ধান্তে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই বাস্তুহারা হতে হল এক পরীক্ষার্থীকে। শিকে উঠেছে পরীক্ষার প্রস্তুতি।
হুগলি জেলার পান্ডুয়া বিধানসভার খন্যান রেলপাড় এলাকায় ঘটে যাওয়া এক হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা উঠে এসেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এক স্কুলছাত্রী এবং তার পরিবার বর্তমানে গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় বসবাস করছেন। রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তাদের মাটির বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ছাত্রীটি জানিয়েছেন, জন্ম থেকেই তিনি রেলপাড়ের ওই এলাকায় বসবাস করছেন। তার ইচ্ছা ছিল সেখান থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার। কিন্তু হঠাৎ করেই রেল কর্তৃপক্ষ এসে একমাত্র থাকার ঘরটুকুও ভেঙে দিয়েছে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে রাস্তায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। পড়াশোনার পরিবেশ হারিয়ে ফেলার ফলে তার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, বহুবার তারা নোটিশ দিয়েছেন এবং এরপরই বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গাগুলি খালি করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে রেলের তরফ থেকে নোটিশ দেওয়া হলেও তাতে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ ছিল না। ফলে তারা কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেননি। হঠাৎ করেই রেলের বুলডোজার এসে প্রায় ১০০টি ঘর তছনছ করে দিয়ে যায়। এতে বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং তাদের জীবন-জীবিকা চরম সংকটের মুখে পড়েছে।
এই ঘটনার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার আগে এমন পরিস্থিতি তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে। পরিবারগুলিও রেলপাড়ে থাকার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, মানবিকতার দিক থেকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সরকারের এবং রেলের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে কি এই পরিবারগুলির জন্য কোনো স্থায়ী সমাধান সম্ভব? এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে আরও উদ্যোগ এবং এলাকাবাসীর সহায়তা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।