২০০৯ সালে প্রাথমিকে ১৮২৬ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ২০১৯ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরের বছরই ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বামফ্রন্ট আমলে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ৪০০ জনকে তিন মাসের মধ্যেই নিয়োগ করতে হবে। রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, চলতি বছর মার্চ মাস পর্যন্ত এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে যত মামলা হয়েছে , সকলকেই চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হাওড়ার জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১১ তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে বাম আমলের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয়। তৃণমূল সরকার নতুন করে প্যানেল প্রকাশ করে। সেই প্যানেলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল। তাতেই এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যাতে আরও একবার ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল সরকার।
২০০৯ সালে প্রাথমিকে ১৮২৬ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ২০১৯ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরের বছরই ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। নতুন সরকার বাম আমলের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয়। নতুন প্যালেন প্রকাশ করা হয়। তারপরই সেই প্যালেনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে চাকরি প্রার্থীরা। এই মামলা সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিল। রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালত জানিয়েছিল বাম আমলের আবেদনকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে হবে। নতুন কোনও চাকরিপ্রার্থী আবেদন করতে পারবে না। আদালতের নির্দেশের পর ২০১৪ সালে আবারও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
২০১৫ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হবে কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়। তারাই হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায়। পরে এই মামলাতেই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কয়েকজন মামলাকারীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলাতে এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আগামী তিন মাসের মধ্যে সব মামলাকারীকে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দিতে বলেন।