সাগরদ্বীপে ৪০০ বছরের প্রাচীন কালীপুজোকে ঘিরে আজও রয়েছে উন্মাদনা। স্থানীয়দের বিশ্বাস সাগরদ্বীপের ধসপাড়ার এই কালী মা খুবই জাগ্রত মা। রইল প্রাচীন কালীপুজোর ইতিকথা।
এক দিন বা দুই দিন ৪০০ বছর পুরনো কালীপুজো ঘিরে উন্মাদনা রয়েছে সাগরদ্বীপে। প্রাচীন এই কালী খুব জাগ্রত বলেও বিশ্বাস স্থানীয়দের।
212
ইচ্ছেপুরণের দেবী
প্রাচীন এই কালী ঠাকুরের কাছে যা চাওয়া যায় সেটাই মেলে। এই বিশ্বাসে আজও অটল স্থানীয় বসিন্দারা।
312
সাগর জঙ্গলে ঘেরে সাগরদ্বীপ
একটা সময় এই সাগরদ্বীপে ছিল গভীর জঙ্গল। বিষধর সাপ ও ভয়ংকর প্রাণীতে ভরা ছিল এই দ্বীপ। রুজি রুটির টানে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন এই দ্বীপে আসা শুরু করে।
412
জীবিকার সন্ধনে
প্রথমে তারা এখানে এসে মাছ, মধু এসব সংগ্রহ করত। পরে ধীরে ধীরে এখানে জনবসতি গড়ে ওঠে। নিজেদের বিশ্বাসেই কালী ঠাকুরের আরাধনা শুরু করেন স্থানীয়রা।
512
প্রাচীন বিশ্বাস
সেসময় জঙ্গলের হিংস্র জীবজন্তুর হাত থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে একটি বটবৃক্ষের তলায় পুজো করে জঙ্গলে প্রবেশ করত স্থানীয়রা। এরপর আশ্চর্যজনকভাবে স্থানীয়দের উপর হিংস্র জীবজন্তুর আক্রমণের হার কমে যায়।
612
পরে মন্দির প্রতিষ্ঠা
এরপর সেখানেই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়।পরে এই আদি কালী মন্দিরের নাম ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এর অনেক পরে, আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে স্থানীয় নিরঞ্জন পাত্র তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়ে নতুন রূপে মন্দিরটি নির্মাণ করেন।
712
অলৌকিক ক্ষমতা
বর্তমানে এখানে নিত্যপুজো আয়োজিত হয়। স্থানীয়রা এখনও বিশ্বাস করেন এই মন্দিরে অধিষ্ঠার্থী দেবীর অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে। সেই বিশ্বাসেই প্রতিবছর কালীপুজোতে হাজার হাজার মানুষ আসেন এখানে।
812
দেবীর পাঁচটি মূর্তি
এখানে দেবীর পাঁচটি বড় মূর্তি রয়েছে ৷ এছাড়াও ছোট ছোট অনেক কালীমূর্তি রয়েছে ৷ মানত করে এগুলি ভক্তরা দিয়ে গিয়েছেন ৷ তখন থেকে সব মূর্তিই পুজো হচ্ছে বলে জানালেন পুরোহিত ৷
912
শনি-মঙ্গলে পুজো
নিত্যপুজো ছাড়াও প্রতি মঙ্গল ও শনিবার বিশেষ পুজো হয় এখানে ৷ এছাড়াও প্রতিবছর কালীপুজোর দিন জাঁকজমকের সঙ্গে পুজো হয় ৷
1012
পুরোহিতের কথা
মন্দিরের প্রধান সেবায়েত প্রকাশ পণ্ডা বলেন, "সাগরদ্বীপ যখন থেকে গড়ে উঠেছিল তারপর থেকেই এই মন্দিরে কালীমায়ের পুজো শুরু হয় ৷ আমাদের পূর্বপুরুষ এই মন্দিরে মায়ের সেবা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে । বংশপরম্পরায় এখন আমি এই মন্দিরে প্রধান সেবাইত ।
1112
মন্দির জাগ্রত
এই মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত । এখানে পুজো দিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে । মা করুণাময়ী সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন ।
1212
স্থানীদের বিশ্বস
"স্থানীয় এক বাসিন্দা মধুসূদন মণ্ডলের কথায়, "এই বটগাছের নিচেই মায়ের মূর্তি ছিল এবং এই মা একজনকে স্বপ্নাদেশ দেয় যে এখানেই তাঁর মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুজো করার জন্য । তৎকালীন সময় এই এলাকা ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল এবং আমরা প্রত্যেকদিন বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেতাম । কিন্তু মায়ের আশীর্বাদে আমাদের কোনওপ্রকার ক্ষতি হয়নি । এই মা খুবই জাগ্রত ৷ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে পুজো দিতে আসে । কালীপুজোর সময় বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয় ।"