হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়া এখন আরও সহজ, চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বঙ্গ সফর, জানুন ভাড়া ও সময়সূচি
ট্রাইয়াল শেষে এবার বঙ্গ সফরের জন্য তৈরি দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু আম জনতা কবে থেকে সফর করতে পারবে ট্রেনে? ভাড়াই বা কত? কী কী সুবিধা পাবেন যাত্রীরা? বন্দে ভার এক্সপ্রেস ঘিরে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
Web Desk - ANB | Published : Dec 27, 2022 7:52 AM IST / Updated: Dec 27 2022, 03:01 PM IST
আগামী ৩০ ডিসেম্বরই বাংলায় উদ্বোধন হতে চলেছে দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের দূরত্ব আরও কম করবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। চলতি মাসের ৩০ তারিখই হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা হবে আপ ২২৩০১ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
মাত্র সাড়ে সাত ঘন্টায় সাউথ বেঙ্গলের সঙ্গে নর্থ বেঙ্গলকে জুড়বে দ্রুতগামী এই ট্রেন। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির দূরত্ব রেলপথে ৫৫৬ কিলোমিটার। বন্দে ভারত এই এক্সপ্রেস এই দূরত্ব অতিক্রম করবে মাত্র সাড়ে সাত ঘন্টায়। উল্লেখ্য হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার সবচেয়ে দ্রুততম ট্রেন শতাব্দী এক্সপ্রেসেরও সময় লাগে ৮ ঘন্টা ২০ মিনিট।
এখন পর্যন্ত নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আপ ২২৩০১ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হাওরা থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ পৌঁছবে গন্তব্য স্টেশনে। আবার ফেরার সময় ডাউন ২২৩০২ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টা ২০ মিনিটে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছবে। যদিও ট্রেনের সময়সূচি সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সোমবারই জানানো হবে।
দেশের দ্রুততম এই ট্রেনের গতিবেগ খাতায় কলমে ১৮০ কিলোমিটার হলেও লাইনের স্বাস্থ্য-সহ একাদিক কারণে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে সর্বাধিক গতিবেগ থাকবে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই গতিবেগ ১০০ কিলোমিটারেও নামতে পারে বলে রেল সূত্রে জানানো হচ্ছে। হাওড়া থেকে ছাড়ার পর ডানকুনি থেকে খানা জংশনের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তাঁর সর্বাধিক গতিতে থাকবে, ১৩০ কিলোমিটার। কিন্তু তাঁর পর থেকেই কমতে থাকবে ট্রেনের গতি। যাত্রাপথের কিছু অংশে ট্রেনের গতিবেগ ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটারেও নেমে আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
হাওড়া থেকে ছাড়ার পর নিউজলপাইগুড়ির মাঝে কেবলমাত্র মালদমাঝে মাত্র একটি স্টেশনেই থামবে এই ট্রেন। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী কেবলমাত্র মালদহ টাউন স্টেশনেই থামবে এই ট্রেন। যদিও এই সিদ্ধান্তও এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ট্রেনের মধ্যেই থাকছে খাবার ও জলের ব্যবস্থা। আপ ট্রেনে প্রাতরাশ ও দুপুরের খাওয়ার দেওয়া হবে যাত্রীদের। সঙ্গে থাকবে চা ও কফি। ডাউন ট্রেনে সন্ধ্যার জল খাবার, চা, কফির পাশাপাশি থাকবে রাতের খাবারের ব্যবস্থাও।
এই ট্রেনের কামরা ও ইঞ্জিনের ধরনও অন্যান্য ট্রেনের থেকে আলাদা হবে বলে জানাচ্ছে রেল। ভিস্তা ডোমের কামরার সঙ্গে মিল থাকলেও ভিস্তা ডোম এক্সপ্রেসের মতো কামরার মাথায় কাচের আবরণ নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্র্যাল কোচ ফ্যাক্টরি ডিজাইন করেছে এই ট্রেনের কামরাগুলি। এছাড়া কামরায় থাকছে অত্যাধুনিক স্লাইডিং ডোর, অটো লক সিস্টেম সমেত।
এই ট্রেনে মূলত দু'টি শ্রেনীর কোচ থাকবে। একটি এসি চেয়ার কার এবং আর একটি এগ্জিকিউটিভ চেয়ার কার। দেশের অন্যান্য দ্রুতগামী ট্রেন দুরন্ত, তেজস, গতিমান, শতাব্দী, জন শতাব্দী, এমনকি, রাজধানীকে টক্কর দিচ্ছে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
এখনও পর্যন্ত এই ট্রেনের ভাড়া নির্ধারিত হয়নি। তবে রেলের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এসি চেয়ার কারের জন্য ভাড়া ১,০২৩ এবং এগ্জিকিউটিভ চেয়ার কারের জন্য ভাড়া ২,১১৩ টাকা।
তবে এক্ষুণি এই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন না যাত্রীরা। সোমবার বিকেলে ট্রেনের সময়সূচি, স্টপেজ ও ভাড়া সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকেই যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে।