কিছুক্ষণ পরেই ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গালের দাপটে বদলাবে রাজ্যের আবহাওয়া, বৃষ্টির সম্ভাবনা এই জেলাগুলিতে
শুরু হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গালের দাপট। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় সরাসরি না পড়লেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে শীতের। তেমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
Saborni Mitra | Published : Nov 27, 2024 7:55 AM IST
ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গাল
বঙ্গোপসাগরে দানা বেঁধেছে ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গাল। ইতিমধ্যেই শুরু করেছে দাপট দেখাতে।
ফেঙ্গালের দাপট
মৌসম ভবনের পূর্বভাস অনুযায়ী বুধবার রাতেই এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে তার আগে থেকেই উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হবে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়়ু উপকূলে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে তামিলনাড়ু উপকূলে। এটি বর্তমানে অবস্থান করছে চেন্নাই থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে। এই ঘুর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে সৌদি আরব।
বাংলার ওপর প্রভাব
ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব কতটা পড়বে তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি মৌসম ভবন। কিন্তু শীতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
শীতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস
আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে ২৯ নভেম্বর দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলা - দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
৩০ নভেম্বর বৃষ্টি
৩০ তারিখ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে। এরপর ১ ডিসেম্বর বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে।
তাপমাত্রা বাড়বে
আগামী ২দিনে গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়বে। ২ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। কোথাও আর কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আকাশ মেঘলা
তবে আজ অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর থেকেই উপকূলবর্তী জেলার আকাশ থাকবে মেঘলা। তবে উত্তুরে হাওয়ার দপট কিছুটা হলেও কমবে।
ফেঙ্গালের প্রভাব
বুধবার তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির কয়েকটি অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। হাতেগানো কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে অতি প্রবল ভারী বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে।
শুক্রবার পর্যন্ত থাকবে
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে ফেঙ্গালের প্রভাব থাকবে। শনিবার থেকে অবহাওযার উন্নতি হবে।