Cyclone Dana: কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে 'দানা'র তাণ্ডব, জেনে নিন কোন জেলায় কত ঝড়? কত থাকবে বৃষ্টির পরিমাণ?
২৪ তারিখ ভোরবেলা ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় দানা। ল্যান্ডফলের সময় ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় হবে এবং উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
Sayanita Chakraborty | Published : Oct 23, 2024 8:37 AM IST / Updated: Oct 23 2024, 04:44 PM IST
আবহাওয়া দফতরের খবর অনুসারে, ২৪ তারিখ ভোরবেলা ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে চলে আসবে ঘূর্ণিঝড় দানা। ২৪ তারিখ রাত থেকে ২৫ অক্টোবর ভোর পর্যন্ত পুরি ও সাগরদ্বীপের মাঝে হবে ল্যান্ডফল।
কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। বেলা বাড়তেই কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। জেনে নিন কবে কোথায় কত পরিমাণ হবে বৃষ্টি।
ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১০০ থেকে ১১০ কিমি এবং ল্যান্ডফলের পরেই সর্বোচ্চ গতিবেগ হয়ে যাবে ১২০ কিমি প্রতিঘন্টা। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় দানা ১২০ কিমি প্রতিঘন্টা তাণ্ডব চালাবে।
বুধবার ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সর্বোচ্চ বেগ থাকবে ৬০ কিমি। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘন্টায় ৬০-৭০ কিমি বেগে ঝড় হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও শুক্রবার সকালে তা হবে ১০০-১১০। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ৮০-৯০ কিমি গতিবেগ থাকহে।
হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগবা ও বাঁকুড়াতে ঝড়ের বেগ থাকহে ৬০-৭০ কিমি। সর্বোচ্চ হতে পারে ৮০ কিমি। কলকাতায় ঝড়ের বেগ থাকবে ৬০-৭০ কিমি। সর্বোচ্চ হতে পারে ৮০ কিমি।
ঘূর্ণিঝড় দানা দু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাবে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। ২৪ ও ২৫ সব থেকে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেখানে লাল সতর্কতা জারি আছে।
আবহাওয়া দফতরের খবর অনুসারে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতে অতিভারী থেকে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা আছে। বাকি জেলাগুলোতে হবে হালকা বৃষ্টিপাত।
অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অর্থাৎ ২০ সেন্টিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হবে পারে হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০ সেন্টিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে।
২০ সেন্টিমিটার-র কম বৃষ্টি হতে পারে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতে। তবে উপকূলভাগে বাতাসের গতি বেশি থাকবে।
এদিকে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় এখনও ঝড়ের মোকাবিলায় জোর তৎপরতে শুরু হয়ে গিয়েছে। খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে যেন কেউ না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।