'DA না দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার!' রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মাহার্ঘ ভাতা নিয়ে বড় আপডেট সামনে
চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেনি রাজ্য সরকার। তাই জানুয়ারিতে বকেয়া ডিএ পাওয়ার আশা খুবই কম। এই অবস্থায় বিস্ফোরর মন্তব্য করলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
Saborni Mitra | Published : Dec 22, 2024 5:46 AM IST
মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা নেই
ডিসেম্বর মাস শেষ হতে চলল। এখনও পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা নিয়ে একটিও কথা খরচ করেনি রাজ্য সরকার। ২০২৩ সালে অ্যালেন পার্কে ক্রিসমাসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ ঘোষণা করেছিলেন। তাই এবারও আশায় বুক বেঁধে ছিলেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু আশা পুরাণ হয়নি।
জানুয়ারিতে ডিএ নয়
রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের মতে আগামী বছর ২০২৫ সালে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন না। কারণ এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কিছুই ঘোষণা করেনি।
৭ জানুয়ারি মামলা
আগামী ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে উঠতে পারে ডিএ মামলা। সেই শুনানির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কারণ এর আগে একাধিকবার পিছিয়ে গেছে ডিএ মামলার শুনানি।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বার্তা
এই অবস্থায় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। ডিএ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
ডিএ আদায়
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের হকের ডিএ না দিয়ে এই সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ মেলা খেলায় খরচ করছে। ৭ জানুয়ারি ডিএ মামলার শুনানি। সেইদিন সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি ডিসমিস করলে তারা ডিএ আদায় করেই ছাড়বেন।
ডিএর টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার!
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় আরও বলেছেন, তিন বছরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে রাজ্য সরকার খরচ করএছে ৫০০০০ কোটি টাকা। আর রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে খরচ হবে ৪২ হাজার কোটি টাকা।
জানুয়ারিতে ডিএ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় আরও বলেছেন, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিএ পাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। তাই ডিএ নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।
সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা
সুপ্রিম কোর্টে এখন পশ্চিমবঙ্গের যে ডিএ মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পুরো বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ দাখিল করেছে রাজ্য সরকার। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এখন সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আছে।
সরকারি কর্মীদের অসন্তোষের কারণ
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় চলে এসেছেন। অর্থাৎ ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় তাঁরা বেতন, মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। আপাতত তাঁরা ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। যা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ আছে।
রাজ্য-কেন্দ্র ডিএ ফারাক
কেন্দ্র সরকারি দীপাবলির সময় আবারও তিন শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি করেছে। যার কারণে বর্তমানে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যের ডিএ-র ফারাক প্রায় ৩৯ শতাংশ। জানুয়ারি কেন্দ্রের কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি হলে সেই ফারাক আরও বাড়বে।