ঘটনার পর থেকেই বগটুই জুড়ে রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। আজ রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ মর্গে লালন শেখের মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর পর থমথমে পরিস্থিতি রামপুরহাটে। সোমবার রাতেই অস্থায়ী সিবিআই শিবিরে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বাড়িয়ে দেওয়া হয় নিরাপত্তা। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই বগটুই জুড়ে রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। আজ রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ মর্গে লালন শেখের মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২১ মার্চ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়তের ধারে বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখ। এই ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল লালন শেখ। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। তাদের মধ্যে ৯ জন মহিলা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল লালন শেখ। ঘটনার পরদিন রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। তারও দুই দুদিন পর হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত হতে নেয় সিবিআই। সেই সময় থেকেই ফেরার হয়ে যায় লালন শেখ। অবশেষে ৫ ডিসেম্বর লালন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
ভাদুশেখ খুন থেকে শুরু করে বগটুই গণহত্যা - একাধিক তথ্য প্রমান ছিল লালন শেখের কাছে। বলা যেতে পারে ২১ মার্চের রাতের ঘটনার চলমান সাক্ষী ছিল সে। বিজেপি -সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই ভয়ঙ্কর সেই ঘটনা। যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তদন্তে উঠে আসা তথ্য বলছে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল। কিন্তু লালন শেখের মৃত্যু অনেক সত্য অধরা যেতে যেতে পারে। তেমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
জানা গিয়েছে রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই শিবিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সোমবার রাতেই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। রামপুরহাটে এসেছেন বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিকও। বগটুইতে নিহতদের বাড়ির সামনে নতুন করে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে আলাদা করে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে পরিবারকে। মঙ্গলবার লালনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। তার পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।
সিবিআই জানিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ অস্থায়ী শিবিরের শৌচাগার থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর গলায় লাল রঙের একটি গামছা জড়ানো ছিল। লালন আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।